—ফাইল চিত্র।
পৃথক চারটি মামলায় শনিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। শনিবার সাংসদ আত্মসমর্পণ করার পর তাঁর আইনজীবী জানান, মক্কেলের জন্য জামিনের আবেদনও করবেন তিনি। চার বছর আগে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ও বিষ্ণুপুর থানায় দু’টি পৃথক মামলা হয় সৌমিত্রের নামে। এ ছাড়াও চলতি বছর সোনামুখী থানায় দায়ের হওয়া আরও দু’টি মামলায় অভিযুক্ত তিনি। এই চারটি মামলাতেই কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে শনিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ও বিষ্ণুপুর থানায় সৌমিত্রের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার জেরে আদালতের নির্দেশে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে নিজের প্রচারে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে পা রাখতে পারেননি সৌমিত্র। সেই সময় সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও নিজের কেন্দ্রে প্রচারে যাওয়ার অনুমতি মেলেনি। লোকসভা নির্বাচনের পর সাংসদ হিসাবে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রবেশের আবেদন জানালে হাই কোর্ট তাঁকে অনুমতি দেয়। অন্য দিকে, চলতি বছর সাংসদের বিরুদ্ধে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানায় আরও দু’টি মামলা রুজু হয়। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ১১ এপ্রিল মানিকবাজারে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের টাকা তছরুপের ঘটনার প্রতিবাদে সেখানে হাজির হন সাংসদ সৌমিত্র। প্রতিবাদ জানানোর সময় সৌমিত্র সোনামুখী থানার আইসির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে হুমকি দেন ও কুকথা বলেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় চলতি বছর ১৩ এপ্রিল সোনামুখী থানায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে একাধিক মামলা রুজু করে। তা নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সৌমিত্র। হাই কোর্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা থেকে সৌমিত্রকে স্বস্তি দিলেও বিচারপতি কৌশিক চন্দ ১৫ দিনের মধ্যে সৌমিত্রকে নিম্ন আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী সৌমিত্র শনিবার বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে সৌমিত্র বলেন, ‘‘মামলাগুলি বিচারাধীন। তাই এ বিষয়ে বিশেষ কিছু বলব না। আদালতের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। এ রাজ্যে বিরোধী দল করতে গেলে সব রকম মামলায় নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। মানুষের কথা বলতে গিয়ে এবং মানুষের হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাকে এই মামলাগুলিতে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ সৌমিত্রের আইনজীবী শঙ্খজিৎ রায় বলেন, ‘‘হাই কোর্ট ৭ নভেম্বরের মধ্যে সাংসদকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনেই আজ সাংসদ আত্মসমর্পণ করলেন। এর পর আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন জানানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy