তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিচ্ছেন বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র
বাঁকুড়ায় বিজেপি-র হাতছাড়া হল আরও একটি গ্রাম পঞ্চায়েত। সোমবার বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বিজেপি। সপ্তাহখানেক আগে বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকের বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তার জেরে বিক্রমপুরেও ‘বিক্রমহীন’ হয়ে পড়ে গেরুয়াশিবির। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে একই ছবি দেখা গেল মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতও। তার জেরে অস্বস্তিতে বাঁকুড়া জেলার পদ্মশিবির।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ৭টি আসন। বাকি ৮টি আসন নিজেদের দখলে রেখে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করে বিজেপি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক রং বদলাতে থাকে মানকানালির। বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্যদের একটি অংশ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। তা বাস্তবে ঘটে সোমবার। বাঁকুড়া শহরের তৃণমূল ভবনে বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্য চিন্তামণি ঘোষ এবং ফুলমণি হেমব্রম তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন দলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা। সমীকরণ বলছে, আপাতত ওই পঞ্চায়েতে সংখ্যালঘু বিজেপি। তাদের হাতে ছ’টি আসন। উল্টো দিকে তৃণমূলের ঝুলিতে ৯ টি আসন।
জোড়াফুল শিবিরের দাবি, সোমবারই ওই পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব এনে ভোটাভুটির জন্য বিডিও-র কাছে আবেদন করা হয়েছে। শ্যামল বলেন, ‘‘মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরা এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ। ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বোর্ড গঠন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’ বিজেপি-র রাঢ় বঙ্গের আহ্বায়ক পার্থসারথি কুণ্ডুর দাবি, ‘‘বিজেপি-র নির্বাচিত সদস্যদের ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আগামিদিনে মানুষ তৃণমূলের এই ভীতি প্রদর্শন করে গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করার যোগ্য জবাব দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy