পুরুলিয়া শহরে পথসভা বিজেপির। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
ইডি-র হাতে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের ঘটনায় দুই জেলায় ধিক্কার-সভা ও মিছিল করল বিরোধীরা। শনিবার পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার নানা এলাকায় পথে নামে বিজেপি এবং সিপিএম।
পুরুলিয়া শহরের ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে এ দিন ধিক্কার-সভা করে বিজেপি। ছিলেন বিজেপির পুরুলিয়া শহর মণ্ডল সভাপতি সত্যজিৎ অধিকারী ও দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মুখোপাধ্যায়। সত্যজিতের দাবি, ‘‘রাজ্যের শিক্ষিত ও টেট উত্তীর্ণ বেকার তরুণ-তরুণীরা দিনের পর দিন চাকরির দাবিতে কলকাতার রাজপথে ধর্নায় বসে আছেন। একটি নির্বাচিত সরকারের সে দিকে কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। অথচ, রাজ্যের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছেন ইডির তদন্তকারীরা। এই টাকার উৎস কী? আমাদের আশা, ইডির তদন্তে তা স্পষ্ট হবে।’’ বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর বাসস্ট্যান্ড ও চকবাজার এলাকায় পথসভা করে বিজেপির জেলা যুব মোর্চা ও নগর মণ্ডল।
পুরুলিয়া শহরে এ দিন ধিক্কার-মিছিল করে সিপিএম। মিছিলে ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায়েরা। প্রদীপের দাবি, ‘‘এ হিমশৈলের চূড়া মাত্র। যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দিতেই কি এই টাকার পাহাড়, প্রশ্ন তো উঠছেই।’’ পুরুলিয়া ২ ব্লকের ভাঙড়া মোড়, রঘুনাথপুরের চেলিয়ামা, কাশীপুরের ঘাটরাঙামাটি গ্রামে সিপিএম ধিক্কার-সভা করে। কাশীপুরের কর্মসূচিতে ছিলেন দলের এরিয়া সম্পাদক শীতল সরকার, প্রাক্তন বিধায়ক সুরেন্দ্রনাথ মাঝি প্রমুখ। এ দিন সন্ধ্যায় পুরুলিয়া শহরে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। সেখানে ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো।
বাঁকুড়া শহরে এ দিন বিকেলে মিছিল করে মাচানতলা মোড়ে গিয়ে বিক্ষোভ-সভা করে সিপিএম। ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র, জেলা সম্পাদক অজিত পতি প্রমুখ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে বড়জোড়ায় ধিক্কার-মিছিল এবং সভায় ছিলেন সিপিএম নেতা সৌমেন্দু মুখোপাধ্যায়, সুজয় চৌধুরী প্রমুখ। বেলিয়াতোড়েও বিক্ষোভ মিছিল করে সিপিএম। অজিত পতির দাবি, “চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত সকলকেই গ্রেফতার করতে হবে। এই দুর্নীতির পর্দা পুরোপুরি উন্মোচন করতে হবে মানুষের সামনে।’’
তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের রাজ্য নেতৃত্ব প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এ নিয়ে আমাদের আর নতুন করে কিছু বলার নেই। বিরোধীরা ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। এটাই ওদের স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy