ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। —নিজস্ব চিত্র।
খুনের ঘটনার পর দু’দিন কেটে গিয়েছে। এখনও থমথমে এলাকা। এই পরিস্থিতিতে বীরভূমের সিউড়ির বাঁশজোড় গ্রামে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরির নির্দেশ দিলেন বীরভূমের জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। যত দিন না সব অপরাধীকে ধরা হচ্ছে, তত দিন এই পুলিশ ক্যাম্প থাকবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
শনিবার রাতে বালিঘাটের দখলদারিকে কেন্দ্র করে সিউড়ি থানার অন্তর্গত বাঁশজোড় গ্রামে এক পক্ষের হাতে খুন হন অন্য পক্ষের উনিশ বছর বয়সি যুবক শেখ ফয়জলের। তাঁকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। যদিও ঘটনার পর পরই পুলিশ তৎপর হওয়ায় নতুন করে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সোমবার ওই গ্রাম পরিদর্শনে আসেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী। তিনি গ্রামের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন। ঘটনাস্থলেও যান। এর পর পুলিশ সুপার জানান, এক দু’দিনের জন্য নয়, ওই গ্রামে ছ’মাসের জন্য একটি স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে। যত ক্ষণ না এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে, তত ক্ষণ পুলিশ ক্যাম্প থাকবে। তাঁর দাবি, গ্রামে সম্পূর্ণ ভাবে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বদ্ধপরিকর বীরভূম জেলা পুলিশ।
সোমবার পুলিশ সুপারের নির্দেশের পর এসআই র্যাঙ্কের অফিসারদের মোতায়েন করা হচ্ছে বলে খবর। পুলিশ সুপার নিজে জানিয়েছেন, যে অপরাধ হয়েছে এবং এই অপরাধের সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের প্রত্যেককে শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের। তবে কী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এমন খুনের ঘটনা ঘটল, তা তদন্তসাপেক্ষ বলে জানিয়েছেন এসপি।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিবাদে যুক্ত দুই গোষ্ঠী মূলত বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ব্যবসা সংক্রান্ত বিবাদের কারণেই এই খুন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৫ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়েছে। আরও কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অন্য দিকে, শনিবার এই হিংসার ঘটনার পর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে নতুন করে ২৫টি বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy