অনুব্রত মণ্ডল, বিকাশ রায় চৌধুরী এবং কাজল শেখ। —ফাইল চিত্র।
বীরভূম জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতিতে জায়গা পেলেন না প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী। শুধু তাই নয়, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের নেতা বলে যাঁরা পরিচিত, তাঁদের অধিকাংশই স্থায়ী সমিতিতে জায়গা পাননি। আগেই বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। নানুরের ওই নেতার সঙ্গে অনুব্রতের সম্পর্কের কথা সুবিদিত। এমনকি, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের গ্রেফতারির পর সমাজমাধ্যমে টিপ্পনী করেছিলেন কাজল। সেই কাজল এখন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। অন্য দিকে, কেষ্ট-ঘনিষ্ঠেরা জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতিতে জায়গা না পাওয়াকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।
সোমবারেই বীরভূম জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠন হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী ৭ দিন পর গঠিত হবে কর্মাধ্যক্ষের তালিকা। স্থায়ী সমিতিতে সিদ্ধান্ত হবে কর্মাধ্যক্ষ হিসাবে কার নাম পাঠানো যায়, সে ব্যাপারে। তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর, সেখানেও অনুব্রত গোষ্ঠীর অধিকাংশ নাম বাদ পড়তে চলেছে। মোটামুটি জানা যাচ্ছে, দুই থেকে তিন জন পুরোনো কর্মাধ্যক্ষ ছাড়া, বাকি সব নতুন মুখ থাকবে সেখানে।
বীরভূম জেলার কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এবং বীরভূম জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি এ বারেও জেলা পরিষদের আসন থেকে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে স্থায়ী সমিতির তালিকা থেকে। যদিও সভাধিপতি কাজল দাবি করেন, তিনি অভিভাবক হিসাবে থাকবেন। তাঁর দেখানো পথে বাকিরা হাঁটবেন। কিন্তু জেলা পরিষদে একের পর এক নির্ণয়ে অনুব্রত গোষ্ঠীর লোকেদের যে বাদ দেওয়া হচ্ছে, তা কার্যত স্পষ্ট।
সোমবার জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনের পর সভাধিপতি কাজল শেখ দাবি করেন, ‘‘অনুব্রতের টিম যেমন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ করেছে, তেমন আগামী সময়েও করবে।’’ পাশাপাশি তিনি জানান, নতুন মুখেদের দ্বারা নতুন ভাবে পরিচালিত হবে জেলা পরিষদ। প্রবীণ যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা অভিভাবকের ভূমিকা পালন করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy