বাঁ দিকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন, ডান দিকে আদালতে তোলা হচ্ছে বিভাস কর্মকারকে। —নিজস্ব চিত্র।
বাঁকুড়ার ই ওয়ালেট জালিয়াতি-কাণ্ডের তদন্তে নতুন মোড়। বাঁকুড়ার ছাতনা থানার আড়রা গ্রামের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮৮টি মোবাইল ফোন। একই মডেলের প্রায় নতুন এত সংখ্যক মোবাইল উদ্ধার হওয়ায় ই ওয়ালেট জালিয়াতির যোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি নকল আধার কার্ড তৈরির আরও একটি কেন্দ্রেরও হদিশ পেয়েছে পুলিশ। বাঁকুড়া সদর থানার কুমিদ্যা এলাকার একটি স্টুডিওতে নকল আধার কার্ড তৈরির খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় পুলিশ। স্টুডিওর মালিক বিভাস কর্মকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিভাসের তত্ত্বাবধানে নকল আধার নথি তৈরি করে তা সাইবার অপরাধের মূল চক্রী অভিষেক মণ্ডলকে সরবরাহ করা হত বলে পুলিশের দাবি। আদালত বিভাসকে ৪ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে বাঁকুড়ার ছাতনা থানার পুলিশ আড়রা গ্রামে একটি পুকুর থেকে প্রচুর মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। সব ফোনই একই মডেলের এবং কি প্যাড ফোন। ই ওয়ালেট জালিয়াতির ক্ষেত্রেও একই ধরনের মোবাইল ফোন উদ্ধার হওয়ায় পুলিশের সন্দেহ বেড়েছে আরও। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, বাঁকুড়ায় ই ওয়ালেট জালিয়াতি কাণ্ড সামনে আসার পর, অন্য কোনও ই ওয়ালেট জালিয়াতি চক্র মোবাইল ফোনগুলি পুকুরের ধারে ফেলে যায়। কে বা কারা এই ফোনগুলি পুকুরের ধারে ফেলে গিয়েছে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সূত্র পায়নি পুলিশ। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এলাকার বিভিন্ন সিম কার্ড ডিলার, স্টুডিও এবং সাইবার কাফেগুলির উপর নজর রাখা হয়েছে।
বাঁকুড়ার ই ওয়ালেট কাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ আরও একটি নকল আধার তৈরির কেন্দ্রের হদিশ পেয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েক মাস ধরে বাঁকুড়া সদর থানার কুমিদ্যা এলাকায় সক্রিয় ছিল ওই কেন্দ্রটি। স্টুডিওর মালিককে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই কেন্দ্রে ভুয়ো নাম, ঠিকানা এবং ছবি দিয়ে ফটোশপের সাহায্যে একের পর এক নকল আধার কার্ড তৈরি করে বেলিয়াডি গ্রামের মোবাইল সিম কার্ড ডিলার মানস সাহানাকে সরবরাহ করা হত। নকল আধার কার্ডের ভিত্তিতে মানস সাহানা সিম কার্ড পাঠিয়ে দিত চক্রের মাস্টারমাইন্ড অভিষেকের কাছে। মানসকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। জেলায় আর কোথাও নকল আধার কার্ড তৈরি হত কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে সিম কার্ড ডিলারদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের উপর নজরদারি চালানোর কথাও ভাবছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy