Advertisement
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Jangipur

হাসপাতাল থেকে কলেজ যাওয়ার পথে নার্সিং ছাত্রীর যৌন হেনস্থার চেষ্টা জঙ্গিপুরে! গ্রেফতার যুবক

আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে রাজ্য জুড়ে শোরগোল চলছে। চিকিৎসকেরা তাঁদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। এই আবহে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে চাঞ্চল্য।

jangipur

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৯
Share: Save:

হাসপাতালের ‘ডিউটি’ সেরে কলেজে ফিরছিলেন নার্সিং পড়ুয়া। দূরত্ব কম। তার মধ্যেই এক যুবক নার্সিং ছাত্রীর পিছু নেন। নিরিবিলি একটি রাস্তায় ওই তরুণীকে একা পেয়ে যুবক যৌন হেনস্থার চেষ্টা করেন বলেন অভিযোগ। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে রাজ্য জুড়ে শোরগোল চলছে। চিকিৎসকেরা তাঁদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। তার মধ্যেই মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের নার্সিং ছাত্রীর অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই ছাত্রী জানিয়েছেন শুক্রবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে কলেজে ফিরছিলেন। সেই সময়ে বহিরাগত, অচেনা এক যুবক তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। ছাত্রীর চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশ থেকে কিছু লোকজন ছুটে আসেন। তখন অভিযুক্ত দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। যদিও তাঁকে ধরে ফেলেন কয়েক জন। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাদের হাতে অভিযুক্তকে তুলে দেওয়া হয়। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

ওই ঘটনার পর থেকে সংশ্লিষ্ট সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েক জন নার্সিং পড়ুয়ার দাবি, হাসপাতাল থেকে নার্সিং কলেজের রাস্তায় দীর্ঘ দিন ধরে বহিরাগতদের আনাগোনা চলছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরেও আনেন তাঁরা। কিন্তু পরিস্থিতির বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। শুক্রবার ওই ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। এ নিয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম ডি নাসিম বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE