অবস্থান-আন্দোলনের মঞ্চ খোলার কাজ চলছে বিশ্বভারতীতে। নিজস্ব চিত্র।
এ বার আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কারণ, কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের পর ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও স্বাভাবিক পঠন-পাঠনে ফিরতে পারেনি ‘বহিষ্কৃত’ হওয়া সেই তিন পড়ুয়া।
গত বুধবার হাই কোর্ট বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। এর পর আন্দোলনে ইতি টানেন পড়ুয়ারা। শুক্রবারও অবস্থান মঞ্চ খোলার কাজ চলেছে বিশ্বভারতীতে। কিন্তু এর পরেও স্বাভাবিক পঠন-পাঠনে ওই তিন পড়ুয়া ফিরতে পারেননি বলে অভিযোগ। এমনকি, ঘন্টা অতিক্রম করতে চললেও এখনও পর্যন্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে এ বিষয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশও করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার প্রোক্টরের কাছে ইমেল মারফত পঠন-পাঠন শুরু করার আবেদন জানান ওই তিন জন। কিন্তু তারও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি বলে দাবি ছাত্র-ছাত্রীদের।
বহিস্কৃত ছাত্র সোমনাথ সাউ বলেন, ‘‘আমরা আদালতের নির্দেশ মেনে দিয়ে আমাদের বিক্ষোভ-কর্মসূচি তুলে নিয়েছি। কিন্তু, আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আমাদের পঠন-পাঠনের কোনও ব্যবস্থা করেননি। এমনকি, আমরা প্রোক্টরের কাছে আবেদন করলেও তারও কোনও জবাব পাইনি।’’
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্বভারতীতে এখন অনলাইনে পঠন-পাঠন চলছে। বহিষ্কারের পর বিভিন্ন গ্রুপ থেকে বার করে দেয়া হয়েছিল ওই তিন পড়ুয়াকে। তাঁদের এখনও সেই গ্রুপগুলিতে ‘অ্যাড’ করা হয়নি বলে অভিযোগ। পড়ুয়াদের অভিযোগেরবিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কিছু বলতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy