প্রতীকী ছবি।
এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার কুমরুল গ্রামের ঘটনা। জাহানারা বেগম নামের ওই মহিলাকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। ঘটনা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূলের। বিজেপির দাবি, পরিবারটি তাদের সমর্থক। হামলাকারীরা তৃণমূলের। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
আক্রান্ত মহিলার স্বামী শেখ সাবেদ আলি এ দিন ইন্দাস থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি ওষুধ কিনতে বাজারে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী বাড়িতে এসে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও বৃদ্ধা মাকে মারধর করে। বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, ঘরে তাঁর স্ত্রী ও মা পড়ে রয়েছেন। স্ত্রী যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পড়শিদের ডেকে তাঁর স্ত্রীকে ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। কিছু পরীক্ষা করার জন্য এ দিন সকালে জাহানারাকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই অন্তঃসত্ত্বাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এ দিন সাবেদ ইন্দাস থানায় সাত জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয় সূত্রের দাবি, অভিযুক্তেরা এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। অভিযোগপত্রে সে বিষয়ে কিছু না লিখলেও এ দিন দুপুরে সংবাদ মাধ্যমের একাংশের কাছে সাবেদ আলি মৌখিক অভিযোগ করেন, ‘‘শুক্রবার আমি বিজেপির সভায় গিয়েছিলাম। সে কারণে তৃণমূলের স্থানীয় লোকজন আমার বাড়িতে চড়াও হয়। মা ও স্ত্রীকে সামনে পেয়ে মারধর করে।’’
তাঁর স্ত্রী জাহানারা অভিযোগ করেন, ‘‘কিছু লোকজন স্বামীর খোঁজ করতে এসেছিল। তাদের জানাই, স্বামী বাজারে গিয়েছেন। তখন তাঁরা আমাকে ও শাশুড়িতে মারধর শুরু করে। আর বলতে থাকে, ‘কেন তোর বর বিজেপির মিটিংয়ে গিয়েছিল’? জাহানারার দাবি, দুষ্কৃতীরা তাঁর পিঠে কিল মারে। তার পরেই তাঁর পেটে অস্বস্তি শুরু হয়।
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হরকালী প্রতিহার অভিযোগ করেন, ‘‘আমাদের দলের সমর্থকের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর উপরে তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনে নামব।’’ যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শেখ হামিদের পাল্টা দাবি, ‘‘পারিবারিক বিবাদকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy