অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হরকালী প্রতিহার (বাঁ দিকে)। শুভেন্দু অধিকারী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আরও এক বিধায়ক ‘খুইয়েছে’ বিজেপি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে শিবির বদলের পর থেকে বেশ কিছু কর্মসূচিতে বিজেপিকে তুলোধোনা করছেন কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। পাল্টা জবাব দিতে হরকালীর বিধানসভা কেন্দ্রকেই বেছে নিল গেরুয়া শিবির। বুধবার কোতুলপুরে বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করেছে তারা। বিজেপি সূত্রে খবর, সেই সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। বস্তুত, দলবদলু বিধায়কের সমালোচনার কড়া জবাব দিতে তাঁরা কোমর বাঁধছেন বলে জানান বাঁকুড়ার বিজেপি নেতৃত্ব।
জল্পনা ছিলই। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার আচমকাই কলকাতায় গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার কিংবা বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ দাবি করেছেন, এতে তাঁদের দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। কিন্তু লোকসভা ভোটের মুখে বিধায়কের এই দলবদলে গেরুয়া শিবিরের মধ্যে অস্বস্তি রয়েছেই। তার মধ্যে গত বেশ কিছু দিন ধরে বাঁকুড়ায় গোষ্ঠীকোন্দলের সমস্যায় ভুগছে বিজেপি। এমনিতেই গত গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের খারাপ ফল হয়েছে। তার মধ্যে বিধায়কের দলত্যাগে গেরুয়া শিবিরের নিচুতলার কর্মীদের মনোবল তলানিতে। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তাঁদের চাঙ্গা করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপরে। তাই শিবির বদলানো বিধায়কের কেন্দ্র থেকেই সেই কাজ শুরু করতে চাইছে বিজেপি। তাই এই বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন। ওই অনুষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে বিজেপি। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশের অনুমতি মেলার খবর পাওয়া যায়নি। বিজেপি অবশ্য জানিয়েছে, তাতে কর্মসূচির সময়সূচির বদল হবে না। বিজয়া সম্মিলনী হবেই।
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেন, ‘‘কোতুলপুর বিধানসভা এলাকার বিজেপি কর্মীদের নিয়ে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। তিন থেকে চার হাজার বিজেপি কর্মী-সমর্থক সম্মেলনে যোগ দেবেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও উপস্থিত থাকবেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘অনুমতির জন্য ওসি এবং পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন জানিয়েছি। নিশ্চিত ভাবে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি হবে।’’
অন্য দিকে, ওই কর্মসূচির খবর পেয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘হরকালী প্রতিহার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর কোতুলপুরে বিজেপি বলে আর কিচ্ছু নেই। কোতুলপুরে বিজয়া সম্মিলনীর নামে বিজেপি এখন ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’-এর চেষ্টা করছে।’’ তার পর তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন, ‘‘শুধু শুভেন্দু নন, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এসে সভা করালেও বিজেপির আর হাল ফিরবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy