সুরতে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা বীরভূম এবং পূর্ব বর্ধমানের তিন শ্রমিককে ছেড়ে দিল গুজরাত পুলিশ। তিন পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতেই তিন জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বস্তুত, ভিন্রাজ্যে কর্মরত তিন জনের আটক হওয়ার খবর পেয়ে ‘দিদিকে বলো’ হেল্পলাইনে অভিযোগ করেছিল তিন পরিবার।
গত শনিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশি সন্দেহে প্রায় সাড়ে ৫০০ লোককে আটক করে গুজরাত পুলিশ। গ্রেফতার হন অন্তত ১০০ জন। কিন্তু ভুল করে বাংলার তিন যুবককে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করে তাঁদের পরিবারের।
বীরভূম জেলার লাভপুর থানার কুসুমগড়িয়া গ্রামের দুই যুবক সুলতান মল্লিক ও শেখ আতাউর রহমান এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী থানার বাসিন্দা কামারুজামান মল্লিক সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সুলতান ও আতাউর দীর্ঘ আট বছর ধরে গুজরাতের সুরতের রামনগরে একটি কাপড়ের কারখানায় কাজ করছিলেন। বর্ধমানের কামারুজ্জামানও সেখানে কাজ করছেন এক বছর ধরে। কিন্তু গত শনিবার ভোরে গুজরাত পুলিশের একটি দল তাঁদের ঘর থেকে তিন জনকে আটক করে নিয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন:
পরিবারের দাবি, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড— সবই ছিল তিন জনের কাছে। তার পরেও তিন জনকে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে রাতে তাঁদের ছাড়া পাওয়ার খবর পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে পরিবার।