—ফাইল চিত্র
হাতে আর মাত্র দু’সপ্তাহ। নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী, ১৯ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে ভোটার-তথ্য যাচাইয়ের কাজ। কিন্তু সেই কাজে অনেকটাই পিছিয়ে পুরুলিয়ার বেশ কয়েকটি বিধানসভা এলাকা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত পঞ্চাশ শতাংশ ভোটার-তথ্য যাচাই হয়নি বাঘমুণ্ডি বিধানসভায়। পিছিয়ে আছে কাশীপুর ও রঘুনাথপুর বিধানসভাও। এই অবস্থায় ভোটার- তথ্য যাচাই কর্মসূচিতে আরও গতি আনতে ব্লকগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জেলায় ভোটার-তথ্য যাচাই পুরোটাই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতিটি ব্লককে এই কর্মসূচিতে আরও গতি আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ভোটার তথ্য যাচাই সম্পূর্ণ করে ফেলব আমরা।”
দিন পনেরো আগেও গোটা জেলায় ভোটার তথ্য যাচাইয়ের হাল মোটেই আশাপ্রদ ছিল না। প্রশাসন সূত্রের খবর, এই কাজ গতি পেয়েছে পুজোর পরে। আগে মানবাজার বিধানসভা ভোটার তথ্য যাচাইয়ে এগিয়ে ছিল। তবে মঙ্গলবারের তথ্য অনুযায়ী, মানবাজারকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে পুরুলিয়া বিধানসভা। তার পরেই আছে জয়পুর, বান্দোয়ান, বলরামপুর, মানবাজার, পাড়া, কাশীপুর, রঘুনাথপুর ও বাঘমুণ্ডি বিধানসভা। জেলায় ভোটার তথ্য যাচাইয়ের গড় ৬২.৪২ শতাংশ।
ভোটার তথ্য যাচাইয়ে পিছিয়ে পড়ার জন্য ভোটারদের সচেতনতার অভাবই মূলত দায়ী বলে দাবি করেছে প্রশাসন। জেলাশাসক জানাচ্ছেন, এই তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশের মতো কাজ হয়েছে প্রশাসনিক উদ্যোগেই। প্রশাসনের দাবি, খুব কম সংখ্যক ভোটারই নিজেরা তথ্য যাচাই করিয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ভোটার-তথ্য যাচাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে গ্রামে-গঞ্জে নিবিড় প্রচারের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রচারে নামানো হয়েছে স্বনির্ভর দলের সদসদ্য থেকে শুরু করে সিভিক ভলান্টিয়ার, আশাকর্মী, ‘ভিলেজ রিসোর্স পার্সন’দেরও। তাঁরা বাড়ি-বাড়ি ঘুরে ভোটারদের তথ্য যাচাই করতে বলছেন। রাজনৈতিক দলগুলিকেও এই কাজে শামিল হতে বলছে জেলা প্রশাসন। বিডিওদের রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলাশাসক পাঁচ বার রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে এই বিষয়ে বৈঠক করেছেন।
কিন্তু তথ্য যাচাইয়ের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবার প্রয়োজন। এই জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় সেই সুবিধা বিশেষ নেই। অনেকের মোবাইল ফোন থাকলেও ইন্টারনেটের সুবিধা নেই। ফলে, নিজের উদ্যোগে তথ্য যাচাই করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়ে ওঠে না। তা মানছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তবে পুজোর পর থেকেই কয়েকটি ব্লক প্রশাসন গা ঝাড়া দিয়ে মাঠে নামায় গড় ৬০ শতাংশ পেরিয়েছে।
জেলার আধিকারিকেরা উদাহরণ হিসেবে টানছেন রঘুনাথপুর ২ ব্লকের কথা। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত ২০ অক্টোবর পর্যন্ত রঘুনাথপুর ২ ব্লকে ভোটার তথ্য যাচাই হয়েছিল ১২.৫৩ শতাংশ। পনেরো দিনেই এই ব্লকে তথ্য যাচাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২.৬৭ শতাংশে। কী ভাবে বাড়ানো সম্ভব ভোটাদের তথ্য যাচাই? বিডিও (রঘুনাথপুর ২) মৃণ্ময় মণ্ডল জানাচ্ছেন, আশাকর্মী থেকে শুরু করে ‘ভিলেজ রিসোর্স পার্সন’দের যেমন বাড়ি-বাড়ি ঘুরে প্রচারের কাজে লাগানো হয়েছিল, তেমনই পুজোর পরে তাঁরাও ভোটার তথ্য যাচাইয়ের জন্য বুথে বুথে শিবির করেছেন। তাতেই এই অগ্রগতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy