ষষ্ঠীতেই বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হল দুই জেলায়। সেরা মণ্ডপ, সেরা প্রতিমা, সেরা পুজো— এই তিনটি বিভাগে প্রশাসনের তরফে মোট ন’টি পুজো কমিটিকে সম্মান জানানো হচ্ছে। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বাঁকুড়ার সেরা তিনটি পুজো হল: বাঁকুড়ার পোয়াবাগান সর্বজনীন, বিষ্ণুপুরের সেনহাটি সর্বজনীন, বাঁকুড়ার প্রণবানন্দপল্লি সর্বজনীন। সেরা প্রতিমা হয়েছে: বিষ্ণুপুর নতুন বাজার সর্বজনীন, বাঁকুড়ার বড়ষোলোআনা রাজহাট তাম্বুলী সমাজ এবং বালসি গ্রামের নাইট অ্যাঙ্গেল অ্যাসোসিয়েশন। সেরা মণ্ডপ হল: বিষ্ণুপুরের শালবাগান সর্বজনীন, বাঁকুড়ার ইঁদারাগড়া হরেশ্বর মেলা সর্বজনীন, ইঁদপুরের বাংলা সর্বজনীন।
পুরুলিয়ায় সেরা তিনটি প্রতিমা হল: পুরুলিয়ার প্রাইভেট রোড দুর্গাপুজো কমিটি, রঘুনাথপুরের সরবড়ি সর্বজনীন ও ঝালদা নামোপাড়া সর্বজনীন। সেরা পুজোর পুরস্কার পাচ্ছে: রঘুনাথপুরের নিতুড়িয়া দুবেশ্বরী কোলিয়ারি সর্বজনীন, সাঁওতালডিহি অফিসার্স ক্লাব ও পুরুলিয়ার শশধর গঙ্গোপাধ্যায় রোড সর্বজনীন। সেরা মণ্ডপের পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছে রঘুনাথপুরের নিউ সর্বজনীন, ভামুরিয়া বাথানেশ্বর সর্বজনীন ও পুরুলিয়ার দুলমি সর্বজনীন।
জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের একটি দল বিভিন্ন মহকুমার পুজো মণ্ডপগুলি ঘুরে দেখেছেন। ভাবধারা, কম বাজেটের মধ্যেও যাঁরা সমাজকে তুলে ধরেছেন, সচেতনতার বার্তা রেখেছেন সেই সমস্ত পুজোগুলিকেই প্রতিযোগিতার মধ্যে রাখা হয়েছিল।’’
তিনি জানিয়েছেন, এই পুজোগুলির পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি ভাল পুজো হয়েছে। তবে প্রতিযোগিতার বিচারে এই পুজোগুলিই সেরার পুরস্কার পাচ্ছে। বিভিন্ন বিভাগে সেরার শিরোপা পাওয়া পুজো কমিটিগুলিকে মুখ্যমন্ত্রী পুরস্কৃত করবেন।
পুলিশ সুপার জয় বিশ্বাস জানান, এ বার যে পুজো কমিটি সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ এই ভাবনা সামনে রেখে পুজো করবে, পরিবহন দফতর তাদের পুরস্কৃত করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy