Advertisement
E-Paper

তারাপীঠে কৌশিকী সন্ধ্যায় দ্বারকার আরতি

তারাপীঠ সেবায়েত সমিতির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ দ্বারকা নদের পশ্চিমপাড়ের সৌন্দর্যায়নের জন্য পার্ক গড়েছে।

কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে সাজছে তারাপীঠ। রবিবার।

কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে সাজছে তারাপীঠ। রবিবার। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৫৯
Share
Save

কৌশিকী অমাবস্যার সন্ধ্যায়, আজ সোমবার, গঙ্গা-আরতির ঢঙে তারাপীঠে শুরু হতে চলেছে দ্বারকা-আরতি। যদিও তার নাম দেওয়া হয়েছে গঙ্গা-আরতি। জেলা প্রশাসন ও মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সারা বছর ধরেই এই আরতি চলবে। এর জন্য পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। শেষ লগ্নের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শনিবার সন্ধ্যায় পরিদর্শনে আসেন জেলাশাসক বিধান রায়, পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়-সহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের আধিকারিকেরা। এই আরতি পর্যটকদের আকর্ষণ করবে বলে আশা জেলা প্রশাসনের।

জেলাশাসক বলেন, ‘‘দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা। আজ, কৌশিকী অমাবস্যার সন্ধ্যায় এর উদ্বোধন হবে। দশ মিনিটের এই উদ্বোধন পর্ব। লক্ষ লক্ষ দর্শক দেখতে আসবেন বলে আশা করছি। নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশ এবং তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ দেখছে। আশা করা যায়, তারাপীঠের পর্যটকদের জন্য এই আরতি একটা নতুন দিক উন্মোচন করবে।’’

তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তারাপীঠে দ্বারকা নদের পাড়ে আরতির বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেবায়েতরা প্রস্তাব আকারে রেখেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেষ্টায় ও জেলার পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় তা শুরু হতে চলেছে।’’

তারাপীঠ সেবায়েত সমিতির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ দ্বারকা নদের পশ্চিমপাড়ের সৌন্দর্যায়নের জন্য পার্ক গড়েছে। ওখানে পাঁচ জন সেবায়েত পঞ্চপ্রদীপ সহযোগে আরতি করবেন। দেবীর আরতির আধ ঘণ্টা আগে দ্বারকা নদের পশ্চিমপাড়ে আরতি করা হবে।” তিনি জানান, মহাশ্মশান ও দেবী তারার মন্দিরকে দীপশিখা দর্শন করানোর জন্য সারা বছর আরতি করা হবে। এর নামও গঙ্গা-আরতি দেওয়া হয়েছে।

বর্ষা চলছে। দ্বারকায় জল আছে। তবে অন্য সময়ে নদে সে ভাবে জল থাকেন না। এই আরতির জন্য নদে যাতে সারা জল থাকে, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে। দর্শনার্থীরা যাতে দ্বারকার পূর্বপাড় থেকে পশ্চিমপাড়ে আরতি দর্শন করতে পারেন, তার জন্য উন্নয়ন পর্ষদ থেকে কবিচন্দ্রপুর যাওয়ার ফুটব্রিজ থেকে দ্বারকা সেতু পর্যন্ত নদীর পাড় লোহার রেলিং দিয়ে স্থায়ী ভাবে ঘিরে দিয়েছে। নদীর ঘাটগুলি বাঁশ দিয়ে ঘেরা হয়েছে। পাশাপাশি, নেট দিয়েও ঘিরে দেওয়া হয়েছে নদীর ঘাট।

জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, কৌশিকী অমাবস্যার সময়ে অসংখ্য দর্শনার্থী যাতে আরতি দর্শন করতে পারেন, তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Tarapith

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}