কালীকৃষ্ণের তৈরি গ্রন্থাগারে গ্রামের পড়ুয়ারা। নিজস্ব িচত্র
গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়ার মতো কাছাকাছি কোনও পাঠাগার নেই। নিজে সে কারণে অসুবিধের মুখোমুখি হয়েছেন। গ্রামের পড়ুয়াদের যাতে তা না হয় সে জন্য তিলে তিলে নিজের জমানো টাকা থেকেই পড়ুয়াদের জন্য পাঠাগার তৈরি করেছেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন পড়ুয়া।
শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা কালীকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের এমন উদ্যোগে খুশি পড়ুয়া, গ্রামবাসী সকলেই।
বিশ্বভারতী থেকে পড়াশোনা শেষ করে আপাতত একটি বেসরকারি স্কুলে আঁকার শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন কালীকৃষ্ণ। এতদিন তাঁর গ্রাম-সহ আশপাশের গ্রামে কোনও পাঠাগার না থাকায় পড়ুয়াদের প্রায় ১০-১২ কিমি পথ পেরিয়ে বই সংগ্রহের জন্য বোলপুর আসতে হত। কালীকৃষ্ণকেও সেই অসুবিধা ভোগ করতে হয়েছে। তাই গ্রামের পড়ুয়াদের সুবিধার কথা চিন্তা করে তিনি এই পদক্ষেপ করেন বলে জানিয়েছেন কালীকৃষ্ণ।
রতনপুর গ্রামে নিজের জমানো প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ করে ওই পাঠাগার তৈরি করেছেন তিনি। পড়ুয়াদের যাতে কোনও অসুবিধে না হয় সে জন্য স্কুলের বই থেকে শুরু করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বই, প্রবন্ধ, উপন্যাস, ছোট গল্প, শিশু সাহিত্যের সম্ভারও রাখা হয়েছে। শুধু পড়ুয়ারাই নয়, গ্রামের সাধারণ মানুষও বই সংগ্রহ করতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। সপ্তাহে এক বার একটি বই তোলা যাবে। দু’মাসের মধ্যে সেই বই ফেরত দিয়ে আবারও একটি বই তুলতে পারবেন পাঠক।
আপাতত প্রত্যেক রবিবার সর্বসাধারণের জন্য এই পাঠাগার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কালীকৃষ্ণ জানান, “এই অঞ্চলে বহু গরিব পরিবারের ছেলেমেয়ে রয়েছে। তাদের অনেকেরই বই কিনে পড়ার ক্ষমতা নেই। তাই এই উদ্যোগ। আশা করি এই গ্রন্থাগারকে বাঁচিয়ে রাখতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা পাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy