Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
tunnel

Gandheswari River: ‘অতল’ সুড়ঙ্গ নদীর ধারে, অনায়াসে করা যাবে যাতায়াত, রহস্য ঘনাচ্ছে বাঁকুড়ার গ্রামে

সম্প্রতি ওই এলাকায় কয়েকজন স্থানীয় যুবক বেড়াতে গিয়ে নদীর পাড়ে একটি সুড়ঙ্গের মুখ আবিষ্কার করেন। তা নিয়েই রহস্য।

গন্ধেশ্বরীর পাড়ে সেই সুড়ঙ্গ।

গন্ধেশ্বরীর পাড়ে সেই সুড়ঙ্গ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২২ ১৩:২৩
Share: Save:

নদীর পাড়ে মাটি ধসে বেরিয়ে পড়ল একটি সুড়ঙ্গের মুখ। আর তা নিয়ে রহস্য ঘনিয়েছে বাঁকুড়ার গ্রামে। প্রাথমিক ভাবে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু প্রায় ২০ ফুট খুঁড়ে ফেলেও সুড়ঙ্গের শেষ মেলেনি। বিষয়টি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বিপদ এড়াতে সুড়ঙ্গের মুখে পুলিশ মোতায়েন করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।
বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট থেকে দু’কিলোমিটার দূরে গন্ধেশ্বরী নদী বাঁক নিয়েছে রাজারবাগান এলাকায়। বাঁকের মুখে ক্রমশ ভাঙছে গন্ধেশ্বরী নদীর দক্ষিণ পাড়। গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ের ওই এলাকা এখন পাণ্ডববর্জিত। সম্প্রতি ওই এলাকায় কয়েক জন স্থানীয় যুবক বেড়াতে গিয়ে নদীর পাড়ে একটি সুড়ঙ্গের মুখ আবিষ্কার করেন। সেই দলে থাকা স্থানীয় যুবক বিবেক মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ের এই এলাকায় কেউ বড় একটা যাতায়াত করেন না। দিন ছ’য়েক আগে আমরা ও দিকে বেড়াতে গিয়ে দেখি নদীর পাড়ের একাংশের মাটি ধসে গিয়ে একটি সুড়ঙ্গের মুখ বেরিয়ে পড়েছে। এর পর আমরা স্থানীয়রা মিলে খোঁড়াখুঁড়ি করি। কিন্তু প্রায় ২০ ফুট পর্যন্ত খুঁড়ে ফেলেও সুড়ঙ্গের শেষ খুঁজে পাইনি। আমাদের ধারণা, এই সুড়ঙ্গে খননকার্য চালালে অজানা তথ্য পাওয়া যাবে।’’

ধনঞ্জয় চৌবে নামে আরও এক স্থানীয় বাসিন্দার অনুমান, ‘‘এক সময় ওই এলাকা ছিল ডাকাতদের মুক্তাঞ্চল। হতে পারে, তাদের আত্মগোপনের জন্য এই সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল। আবার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মগোপনের উদ্দেশ্যেও এই সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে। আমরা চাই প্রশাসন এই সুড়ঙ্গের রহস্যভেদে উদ্যোগী হোক।’’

ওই সুড়ঙ্গের উচ্চতা প্রায় সাড়ে তিন ফুট। প্রস্থে আড়াই ফুট। এক জন মানুষ মাথা নুইয়ে অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবেন ওই সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে। সুড়ঙ্গের চার দিক ইট, চুন এবং সুরকি দিয়ে বাঁধানো। সুড়ঙ্গের মেঝেও ইট দিয়ে বাঁধানো। বিষ্ণুপুর মিউজিয়ামের কিউরেটর তুষার সরকার বলেন, ‘‘সুড়ঙ্গের ছবি দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এই নির্মাণ ব্রিটিশ আমলের। ইটের আকার এবং নির্মাণরীতিই সেই কথা বলছে। তবে সুড়ঙ্গের ভিতরে পুরোটা না ঢুকতে পারলে এই নির্মাণ কী কাজে ব্যবহার করা হত, তা বলা সম্ভব নয়।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

অন্য বিষয়গুলি:

tunnel Gandheswari River bankura
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy