ছত্তীসগঢ়ের রায়পুর পুলিশের হেফাজত থেকে ফের বাঁকুড়ায় আনা হল বাবা, মা ও প্রেমিকাকে খুনে অভিযুক্ত উদয়ন দাসকে। বুধবারই ওই যুবককে বাঁকুড়ার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের (সিজেএম) আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাঁকুড়ার রবীন্দ্রসরণির বাসিন্দা আকাঙ্ক্ষা শর্মাকে উদয়ন খুন করেছে বলে অভিযোগ। গত বছর জুন মাসে আমেরিকায় চাকরি করতে যাওয়ার নাম করে বাঁকুড়ার বাড়ি থেকে বের হন বছর আঠাশের আকাঙ্ক্ষা। উদয়নই তার পর থেকেই আর ওই যুবতীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেননি তাঁর পরিবারের লোকজন। সন্দেহ হওয়ায় ডিসেম্বরে পুলিশের দ্বারস্থ হন আকাঙ্ক্ষার বাবা, বাঁকুড়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের চিফ ম্যানেজার শিবেন্দ্র শর্মা।
তদন্তে নেমে চলতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি ভোপাল শহরের সাকেত নগরে উদয়নের বাড়িতে যান বাঁকুড়া পুলিশের তদন্তকারীরা। সেখানেই বেদি খুঁড়ে পাওয়া একটি ট্রাঙ্ক থেকে আকাঙ্ক্ষার প্রায় ‘মমি’ হয়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, উদয়নই আমেরিকায় রাষ্ট্রপুঞ্জে চাকরি করে দেওয়ার টোপ দিয়ে আকাঙ্ক্ষাকে ভোপালে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। টানা জেরায় পুলিশের কাছে নিজের বাবা-মাকেও খুন করে রায়পুরের বাড়ির বাগানে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে নেয় উদয়ন। আকাঙ্ক্ষা খুনের তদন্তের জন্য ভোপাল থেকে উদয়নকে বাঁকুড়ায় নিয়ে আসেন তদন্তকারীরা। পরে তার বাবা মা-র খুনের তদন্তের জন্য রায়পুর পুলিশ তাকে বাঁকুড়া থেকে রায়পুরে নিয়ে যায়।
আকাঙ্ক্ষার পরিবারের পক্ষের আইনজীবী অজিত আকুলি ও সায়ন্তন চৌধুরী বলেন, “উদয়নকে রায়পুর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার সময় বিচারক ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফের তাকে বাঁকুড়া আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।” আদালতে জেলা আইনি সহায়তা কেন্দ্রের আইনজীবীর তরফে উদয়নের জন্য জামিনের আবেদন জানানো হলে তা খারিজ হয়ে যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বাঁকুড়ার সিজেএম অরুণকুমার নন্দী উদয়নের কাছে জানতে চান রায়পুরে সে কেমন ছিল। উত্তরে উদয়ন বলে, “ভাল ছিলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy