নলহাটিতে। নিজস্ব চিত্র
দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় রবিবার সকালে জেলার দু’প্রান্তে মৃত্যু হল তিন জনের। সদাইপুরে অটোর সঙ্গে গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে দুই ভাইয়ের। নলহাটিতে গরু বোঝাই লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক আনাজ ব্যবসায়ীর। জখম হয়েছেন তাঁর ছেলেও।
সদাইপুরের ঘটনায় মারাত্মক জখম হয়েছেন অটো চালক-সহ মৃত দুই বালকের চার পরিজন সহ মোট পাঁচজন। রবিবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে সদাইপুর থানা এলাকার বাঁধেরশোল গ্রামের কাছে রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ জানায়, মারা গিয়েছে জুবেদ খান (৯) ও জাহিদ খান(১২)। তাদের বাড়ি লোকপুর থানা এলাকার বারাবন গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সদাইপুর থানা এলাকার মেহেরপুর গ্রামে এক আত্মীয় বিয়োগের খবর পেয়ে নরুল খান নামে বারাবন গ্রামের এক বৃদ্ধ অটো ভাড়া করে এ দিন সেখানেই আসছিলেন। মোট সাতজন ছিলেন অটোতে। ছিলেন ওই বৃদ্ধ, তাঁর মেয়ে জামাই, ও তিন নাতি। তিন নাতির একজন তাঁর মেয়ের অন্য দুই নাতি ছেলের সন্তান। জাতীয় সড়ক ধরে বাঁধেরশোল গ্রামের কাছে আসতেই সিউড়ির দিক থেকে আসা একটি বোলেরো গাড়ি মুখোমুখি তাঁদের অটোটিকে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, কার্যত তুবড়ে যায় অটোটি। সকলেই মারাত্মক জখন হন।
সকলকেই উদ্ধার করে সিউড়ি জেলা হাসপাতালে পৌঁছয় পুলিশ। তবে চালকের পাশে বসে থাকা দুই নাতি ছিটকে রাস্তায় পড়ে এতটাই জখম হয়েছিল যে হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মৃত্যু হয় তাদের। পরে আরেক নাতি ও গাড়ির চালককের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে রেফার করে দেয় সিউড়ি জেলা হাসপাতাল। পুলিশ জানায়, অটোটিকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল গাড়ির চালক। গাড়িটিকে ধাওয়া করে ধরে ফেলা গিয়েছে।
অন্য দিকে, গরু বোঝাই লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে আনাজ ব্যবসায়ীর। জখম হয়েছেন ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম শুকুর শেখ (৫০)। বাড়ি বীরভূমের নলহাটি থানার সরধা গ্রামে। আনাজ ও ফলের ব্যবসা করতেন তিনি ও তাঁর ছেলে। রবিবার সকালে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে নিজেই টোটো চালিয়ে নলহাটি গিয়েছিলেন আনাজ ও ফল কিনতে। ফেরার পথে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর তেজহাটির কাছে গরু বোঝাই লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। শুকুর শেখের ছেলে নূরহক শেখ গুরুতর জখম হন।তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার পরে লরিটি আটকে গরুগুলিকে নামায় ও সরধা খোঁয়াড়ে নিয়ে যায়। এলাকাবাসীর দাবি, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের পরেই গরু ছাড়া হবে। একই সঙ্গে প্রশাসনের কাছে তাদের দাবি, ওই এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে। সরধা গ্রামের নওশাদ শেখ, সালাম শেখরা বলেন, "নম্বর বিহীন লরিতে করে এভাবেই নিয়মিত গরু পাচার হয় বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনাতে চেয়েছি আমরা।’’ জেলা প্রশালের পক্ষ থেকে এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পুলিশ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy