স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে সিউড়ি থানা চত্বর। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
পুলিশকর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ছিলই। এ বার এক দিনে শান্তিনিকেতন থানার ১৪ জন পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হলেন। তাতেই নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্য দফতর থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কারণেই এই সংক্রমণ বলে স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার শান্তিনিকেতন থানার এক এএসআই-এর করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাঁর সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। রবিবার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পুলিশকর্মী ও পুলিশের গাড়ির চালক মিলিয়ে প্রায় ২৬ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। তাতেই রবিবার রাতে বোলপুরের এক পুলিশকর্তা এবং তার গাড়িচালক ও শান্তিনিকেতন থানার এক কনস্টেবলের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই ২৬ জনের মধ্যে সোমবার সকালে আরও শান্তিনিকেতন থানার আরও দু’জন পুলিশকর্মীর রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
সূত্রের খবর, এর পরেই তড়িঘড়ি আরও পুলিশকর্মী, গাড়ির চালক, কমব্যাট ফোর্সের কর্মী-সহ ৬৮ জনের সোমবার বোলপুর হাসপাতালে র্যাপিড টেস্টের মাধ্যমে করোনার নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। বিকেলে ৬৮ জনের মধ্যে ১২ জন পুলিশকর্মীর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার দীপ্তেন্দু দত্ত বলেন, ‘‘ এ দিন মোট ১৪ জন পুলিশকর্মীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।’’ এর পরেই ওই পুলিশকর্মীদের বোলপুর কোভিড হাসপাতাল এবং সেফ হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। করোনার উপসর্গহীন পুলিশকর্মীদের ১৪ দিন গৃহ-নিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছে। এই ১৪ জনের সংস্পর্শে আরও কত জন এসেছেন, তা-ও চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। আপাতত শান্তিনিকেতন থানার তরফ থেকে প্রায় বেশির ভাগ পুলিশকর্মীকেই গৃহ-নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এত জন এক সঙ্গে আক্রান্ত হাওয়ায় কী ভাবে থানার স্বাভাবিক কাজকর্ম চালানো সম্ভব হবে, জেলার পুলিশকর্তারা তা নিয়েই চিন্তিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy