Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
শ্যামবাটি

সেতু নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে

এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সেচসেতু ভেঙে পড়েছে। কিন্তু দু’দিন ধরে নিজের দফতরেই দেখা মিলছে না অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অমিতাভ চৌধুরীর। শ্যামবাটি ক্যানাল পাড়ে ভেঙে পড়া সেতুটি সংস্কার এবং অবিলম্বে অস্থায়ী সেতুর দাবি জানিয়ে শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ তাঁর দফতরে যান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:১৬
Share: Save:

এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সেচসেতু ভেঙে পড়েছে। কিন্তু দু’দিন ধরে নিজের দফতরেই দেখা মিলছে না অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অমিতাভ চৌধুরীর। শ্যামবাটি ক্যানাল পাড়ে ভেঙে পড়া সেতুটি সংস্কার এবং অবিলম্বে অস্থায়ী সেতুর দাবি জানিয়ে শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ তাঁর দফতরে যান। কিন্তু বৃহস্পতিবারের মতো এ দিনও শ্যামবাটিতে স্থিত সেচ দফতরের অফিসে তাঁর দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ। আধিকারিককে না পেয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। তাঁরা দফতরের সামনে বিক্ষোভও দেখাতে শুরু করেন। বাসিন্দাদের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় রূপপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ইন্দ্রজিৎ মিত্র। পরে তিনি এ নিয়ে দফতরের ময়ূরাক্ষী সাউথ ক্যানাল ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় সিংহের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। সঞ্জয়বাবু দ্রুত সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয় আশ্বাস দেওয়ায় বাসিন্দারা বিক্ষোভ তুলে নেন। এ দিকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে অমিতাভবাবু দাবি করেন, “সাইটে গিয়েছিলাম। তাই ওই সময় দফতরে ছিলাম না।”

এ দিকে, শ্যামবাটিতে সেচ দফতরের কলোনির পাশ দিয়ে যাওয়া একটি পায়ে হাঁটা রাস্তা ব্যবহার করার দাবি বাসিন্দারা তুলতে শুরু করেছেন। এ দিন সকালে রূপপুর পঞ্চায়েতের উদ্যোগে শ্যামবাটি ক্যানালপাড়ে আগাছা সাফ করে পায়ে হাঁটা পথ পরিষ্কার করা হয়েছে। ইন্দ্রজিতবাবু বলেন, “সঞ্জয়বাবুর কাছে অনুরোধ জানিয়েছি, ভেঙে পড়া সেতুর পাশে একটি অস্থায়ী সেতু গড়ে দেওয়া হোক। পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে দফতরের কলোনির পাশের রাস্তাটি সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করতে দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছি। সে ক্ষেত্রে দফতরের জিনিসপত্র রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে পুলিশ কিংবা আমরাই নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।” এ দিকে, বুধবার মাঝরাতে ওই সেতু ভেঙে পড়ার পর থেকে এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এ দিন তার ব্যতিক্রম হয়নি। কখনও ঘুরপথে অনেকটা অতিরিক্ত গিয়ে আবার কখনও ক্যানাল পাড় দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করেছেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত সেচ দফতরও। অমিতাভবাবু বলেন, “পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আমরা কলোনির পাশ দিয়ে যাওয়ার রাস্তাটি সাধারণের ব্যবহারের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি।” অন্য দিকে, সঞ্জয়বাবু বলেন, “বাসিন্দাদের আবেদনগুলি আমরা আলোচনা করে দেখছি। জরুরি ভিত্তিতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত ওই সেতুর পাশে একটি অস্থায়ী সেতু গড়া হবে। তা ছাড়া সেতু সংস্কারের জন্য আগেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

bridge grievance
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE