Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪

বিয়ের নামে পাচারের নালিশ, গ্রেফতার দুই

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইঁদপুর থানা এলাকা থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করার অভিযোগে এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হল সতীশ বাউরি ও ভবানী বাউরি। তাদের বাড়ি ইঁদপুরের ভালুকা গ্রামে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইঁদপুর শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৪ ০৬:৪৫
Share: Save:

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইঁদপুর থানা এলাকা থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করার অভিযোগে এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হল সতীশ বাউরি ও ভবানী বাউরি। তাদের বাড়ি ইঁদপুরের ভালুকা গ্রামে। উদ্ধার হওয়া বছর বারোর ওই কিশোরীর বাড়ি ইঁদপুর থানা এলাকায়। রবিবার ভোরে ইঁদপুর থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধারের পরে সতীশ ও ভবানীকে ধরা হয়। রবিবার ধৃতদের খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। কিশোরীকে তার পরিবারের কাছে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।

খাতড়া মহকুমার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ১২ বছরের ওই কিশোরীকে বিয়ের নাম করে বেঙ্গালুরুতে পাচার করা হচ্ছিল।” তাঁর দাবি, ধৃতেরা জেরায় ওই কথাই পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। ইঁদপুর বাংলা এলাকার ওই কিশোরী স্থানীয় একটি হাইস্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। বিয়ে দেওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে তাকে অন্যত্র পাচার করে দেওয়া হয়েছে বলে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইঁদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, “ওই মেয়েটির পরিবার খুবই গরিব। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজ্যের বাইরে তাকে পাচার করা হচ্ছিল। পরে জানতে পারি এর পিছনে স্থানীয় কয়েকজন জড়িত।” পুলিশের দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পরেই গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভালুকা গ্রামের বাসিন্দা বাহাদুর বাউরিকে ধরা হয়। তাকে জেরা করার পরে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে সতীশ বাউরি ও ভবানী বাউরিকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের পরিবারের তরফে অবশ্য মেয়েটিকে পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy