গড়পঞ্চকোট পাহাড়ে আরও বেশি পর্যটক টানতে নতুন পর্যটক আবাস তৈরি করল প্রশাসন। পাহাড়ের অদূরে নিতুড়িয়া ব্লক অফিসের পাশেই বৃহস্পতিবার ‘অরণ্যে দিনরাত্রি’ নামের এই আবাসের উদ্বোধন করেন বাঁকুড়ার সাংসদ মুনমুন সেন। ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক পূণর্র্চন্দ্র বাউরি, পুরুলিয়ার জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী, নিতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শান্তিভূষণ প্রসাদ। এ দিন নিতুড়িয়া ব্লকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেরও উদ্বোধন করেন সাংসদ। একই সঙ্গে এই ব্লকের পর্যটন সংক্রান্ত তথ্য সম্বলিত একটি ছোট বই প্রকাশ করা হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিতুড়িয়ায় গড়পঞ্চকোট পাহাড়ে পর্যটনের বিকাশের লক্ষে একাধিক প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার। পাহাড়ের এক প্রান্তে মন্দির ক্ষেত্র এলাকায় ১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকায় রাজ্য পর্যটন দফতর পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করেছে। এ ছাড়াও পাহাড়ের অন্য প্রান্তে বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করে পর্যটক আবাস করা হচ্ছে বলে জানান বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি। জেলাশাসক বলেন, “গড়পঞ্চকোটে এখন বন উন্নয়ন নিগম ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের দু’টি পর্যটক আবাস রয়েছে। নতুন করে পর্যটন দফতর একটি আবাস এখানে তৈরি করছে। আরও বেশি পর্যটকদের টানতে এ দিন নতুন একটি আবাস চালু করা হল।”
পঞ্চকোট রাজবংশের রাজধানী থাকাকালীন পঞ্চরত্নের মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল। সেই মন্দিরের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে বলে এ দিন জেলাশাসক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “তথ্য সংস্কৃতি দফতরের অর্থে মন্দিরটি সংস্কারের কাজ করতে চলেছে পূর্ত দফতর। বিশেষজ্ঞ সংস্থার সাহায্যে এই কাজ করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি দেখভাল করবে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন।”
শুধু সৌন্দর্যের কারণেই নয়, ঐতিহাসিক দিক দিয়েও এই মন্দিরটির গুরুত্ব রয়েছে। তাই এই এলাকায় মন্দিরটির সংস্কারের দাবি দীর্ঘদিনের। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অরণ্যের দিনরাত্রি নামের কটেজটি তৈরি করতে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। দুই তলার এই আবাসের মধ্যে ছ’টি ঘর রয়েছে। যার মধ্যে চারটি ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। এ ছাড়া একটি সভাকক্ষ রয়েছে। বাকি দু’টি ঘর ব্যবহার করা হবে ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির প্রশিক্ষণের কাজে। বিডিও শারদদ্যুতি চৌধুরী বলেন, “আবাসটি পরিচালনা করবে স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। ফলে গোষ্ঠীগুলির আর্থিক মানও উন্নয়ন হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy