আড়শার মুরগুমা জলাধারে। ছবি: প্রদীপ মাহাতো।
জাঁকিয়ে ঠান্ডা। আবার মিঠেকড়া রোদও।
উত্সবের জন্য আর কী চাই! বড়দিনে তাই পুরুলিয়ার বিভিন্ন পিকনিক স্পটে উপচে পড়ল ভিড়। পাল্লা দিয়ে বাড়ল এলাকার দূষণ।
এমনিতে বৃহস্পতিবারই ছিল চলতি ঠান্ডার মরসুমে পুরুলিয়ার এখনও অবধি শীতলতম দিন। জেলার আবহাওয়া কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিকে, ঠান্ডার সঙ্গে সারাদিনই বয়েছে উত্তুরে হাওয়া। অন্য দিকে, একটু বেলা হতেই চড়া রোদ। সব মিলিয়ে ছুটির দিনে বনভোজনের আদর্শ পরিবেশ। তাই এ দিন বাঘমুণ্ডির অযোধ্যা পাহাড় থেকে নিতুড়িয়ার পঞ্চকোট পাহাড়, মানবাজারের দোলাডাঙ্গা থেকে পুরুলিয়ার কংসাবতীর ধারে চুটিয়ে পিকনিক সারলেন কচিকাঁচা থেকে বয়স্করাও।
ছুটির দিনে ব্লকের সব কর্মীকে নিয়ে আড়শার মুরগুমা জলাধারে বনভোজন করতে গিয়েছিলেন বলরামপুরের বিডিও সুচেতনা দাস। তাঁর কথায়, “বড়দিনের ছুটিটা বাড়িতে কাটিয়ে নষ্ট করার কোনও মানে হয় না। তাই আমরা ব্লকের সব কর্মী মিলে স্থির করেছিলাম, এ দিন পিকনিক করবো। নিজেরাই রান্না করে পুরো দিনটা ছুটির মেজাজে কাটিয়েছি।” ব্লকের কর্মী অজিত গোস্বামী, কুমারদীপ শিকারি বলেন, “কাজের চাপ কাটানোর জন্য পিকনিকের কোনও বিকল্প নেই। ব্লকের সব কর্মীই পিকনিকে এসেছেন। খুব ভাল কেটেছে দিনটা।”
এ দিন অযোধ্যা পাহাড়ের পিকনিক স্পটগুলিতে পুরুলিয়া তো বটেই বাইরের জেলাগুলি থেকেও বহু পর্যটক এসেছিলেন। পাহাড়ের নীচে পিকনিক করে স্থানীয় ভাবে ছোট গাড়ি ভাড়া নিয়ে অন্য দর্শনীয় স্থান ঘুরেছেন তাঁরা। তবে, গাড়িভাড়া করার ক্ষেত্রে কিছু অভিযোগও শোনা গিয়েছে পর্যটকদের গলায়। পাশাপাশি পরিকাঠামো নিয়েও অভিযোগ উঠেছে মানবাজার থানার পিকনিক স্পট দোলাডাঙায় বনভোজন করতে আসা লোকজনের কথায়। সপরিবার দোলাডাঙায় আসা বোরো থানা এলাকার বারিদ মাহাতো, মঙ্গল মাহাতোদের ক্ষোভ, “মানবাজার থেকে দোলাডাঙায় আসার রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া, আগে এখানে রান্না করার জন্য ছাউনি করা ছিল। সেগুলি থাকলেও মাথার উপরে ছাউনি উধাও হয়ে গেছে। ছোটদের খেলার সরঞ্জামগুলিরও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অবস্থা খারাপ।” অন্য দিকে, রান্নার জলের অভাবে ভুগতে হয়েছে মানবাজার লাগোয়া বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানার বনপুকুরিয়া ডিয়ারপার্কে বনভোজন করতে আসা পর্যকটদের। মানবাজারের বাসিন্দা শুভম দত্ত, প্রতীক চক্রবর্তীরা বলেন, “মুকুটমণিপুর জলাধারের পাশে এই ডিয়ারপার্ক আদর্শ পিকনিক স্পট। কিন্তু রান্না ও খাওয়ার জলের বড়ই অভাব।”
তবে সুবিধা-অসুবিধাকে দূরে সরিয়ে রেখেই বড়দিনের ছুটি উপভোগ করেছেন সকলে। সকালেই সপরিবার অযোধ্যা পাহাড়ে গিয়েছিলেন পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা শ্রীমন্ত কুণ্ডু। পুরুলিয়া ১ ব্লকের তেলেডিতে গিয়েছিলেন শহরের বাসিন্দা গৌতম ঘোষ, দেবকুমার মুখোপাধ্যায়, অনুরাধা মুখোপাধ্যায়রা। তাঁদের কথায়, “ঠান্ডাটা আজ বেশ জাঁকিয়ে পড়লেও গোটা দিনই রোদ ছিল। ফলে বনভোজনের একেবারে আর্দশ পরিবেশ। শহরের কাছেই তেলেডি। তাই দিনটা এখানেই এসে সকলে মিলে খাওয়াদাওয়া আর আনন্দ করে কাটিয়েছি।” একই কথা বলেন গড় পঞ্চাকোটে পিকনিক করতে আসা আসানসোলের বাসিন্দা দীপক চক্রবর্তী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy