কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী চুরি গেল বিএসএনএল-এর একটি নিরাপত্তারক্ষীহীন এক্সচেঞ্জ থেকে। মঙ্গলবার গভীর রাতে সুরুল এক্সচেঞ্জের ঘটনা। বুধবার সকালে দফতর খুলতেই দফতরের কর্মীরা বিষয়টি জানতে পারেন। ওই দিনই বিএসএনএল-এর পক্ষ থেকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভেতরে ঢুকে যে ভাবে সমস্ত জিনিসপত্র চুরি করা হয়েছে, তাতে ঘটনায় পেশাদার কেউ-ই জড়িত। বৃহস্পিতবার বিএসএনএল-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সুরুল ফাঁড়ি ও বোলপুর থানায় চুরির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। চুরির কারণে ওই এলাকার ৭৫২টি ল্যান্ডলাইন এবং ২৩৪টি ব্রডব্যান্ডের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সমস্যা মিটতে দিন পনোরে লেগে যাবে। দফতরের পক্ষ থেকে বিষয়টি জেলাশাসককে জানানোও হয়েছে।”
বোলপুর-সিউড়ি রাস্তার উপর শ্রীনিকেতনের রূপপুর পঞ্চায়েত কার্যালয়ে রয়েছে সুরুল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ। দফতর সূত্রের খবর, সেখান থেকেই চারটি তালা ভেঙে ৩২টি ব্যাটারি, ৪৫টি কন্ট্রোল কার্ড-সহ নানা উপকরণ এবং টেলিফোনের যন্ত্রাংশ চুরি গিয়েছে। আধিকারিকদের দাবি, ওই এক্সচেঞ্জ থেকে আনুমানিক সাড়ে ৮ লক্ষ টাকার জিনিস চুরি গিয়েছে। এ দিকে, জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, সংশ্লিষ্ট দফতরের কারও যোগসাজশ ছাড়া এমন চুরি সম্ভব নয়। তাঁর প্রশ্ন, এত মূল্যবান জিনিসপত্র থাকা সত্ত্বেও বিএসএনএল দফতর কেন ওই এক্সচেঞ্জে কোনও নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করেনি?
বিএসএনএল-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অবশ্য জানিয়েছেন, জেলায় দফতরের মোট ৯০টি এক্সচেঞ্জ রয়েছে। সেখানে দফতরের হাতে মাত্র ৪৫ জন প্রহরী রয়েছে। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “বুঝতেই পারছেন প্রতিটি এক্সচেঞ্জ পাহারা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত কর্মী এই মুহূর্তে আমাদের নেই।” তাঁর আশা, পুলিশ ঠিক ভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy