সুপ্রিম কোর্ট।
পিটিটিআই প্রশিক্ষণ নেওয়া সত্ত্বেও অনেক প্রার্থী প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাননি। তাঁদের মধ্যে যাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, শীর্ষ আদালত সময়সীমা বেঁধে প্রাথমিক স্কুলে তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের সেই নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই ওই সব প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে বলে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য রবিবার জানান।
মানিকবাবু বলেন, ‘‘ওই প্রার্থীদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে এবং এটা শুধু সরকারের তরফেই করা হচ্ছে। এই কাজ শেষ হয়ে গেলেই নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’ সুপ্রিম কোর্টের তালিকা অনুযায়ী রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যোগ্য প্রার্থীদের ডাকা হবে বলে জানান পর্ষদ-প্রধান।
প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার জন্য পিটিটিআই প্রশিক্ষণ আবশ্যিক হওয়ার পর থেকে প্রার্থীদের মধ্যে ওই শর্ত পূরণের তৎপরতা বেড়ে যায়। কেননা ওই প্রশিক্ষণ থাকলে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলের পাশাপাশি বাড়তি ২২ নম্বর মিলবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে বাড়তি নম্বর দেওয়া হচ্ছে না, নিয়োগপত্রও মিলছে না। ছোটাছুটি করে কাজ না-হওয়ায় পিটিটিআই প্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকপদ প্রার্থীদের একটি অংশ ২০১০ সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে পিটিটিআই প্রশিক্ষণ নেওয়া সত্ত্বেও তাঁদের প্রাপ্য ২২ নম্বর দেওয়া হয়নি এবং তাঁরা চাকরি পাননি। শেষ পর্যন্ত মামলাটি
হাইকোর্ট থেকে সর্বোচ্চ আদালতে যায়। সেখানে জয় হয় ওই মামলাকারী প্রার্থীদের। কয়েক দিন আগে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, পিটিটিআই প্রশিক্ষিত যে-সব প্রাথমিক শিক্ষকপদ প্রার্থী ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলা করেছিলেন, তাঁদের নিয়োগপত্র দিতে হবে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে। এবং এ ক্ষেত্রে চাকরি পাবেন শুধু সেই মামলার আবেদনকারীরাই। ফাঁকা পদে তাঁদের নিয়োগ করা যেতে পারে। প্রয়োজনে শূন্য পদ তৈরি করে রাজ্যকে ওই সব প্রার্থীর চাকরির বন্দোবস্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy