প্রতীকী ছবি
লোকাল ট্রেন চলছে না। স্বাভাবিক হয়নি বাস-মিনিবাসের মতো গণপরিবহণও। এই অবস্থায় এজলাসে হাজির হয়ে মামলার শুনানিতে রাজি নয় কলকাতা হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও অন্য বিচারপতিদের চিঠি লিখে সোমবার এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোককুমার ঢনঢনিয়া-সহ এগজ়িকিউটিভ কমিটির কিছু সদস্য। সংগঠনের সম্পাদক ধীরাজ ত্রিবেদী জানান, হাইকোর্ট প্রশাসন জানিয়েছে, ১১ জুন থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে এজলাসে হাজির হয়ে দু'সপ্তাহের জন্য শুনানি করতে পারবেন আইনজীবীরা। কিন্তু যাতায়াতের সমস্যায় কাজে যোগ দিতে কৌঁসুলিদের অসুবিধা হবে। তাই রবিবার ভিডিয়ো-বৈঠক করে সংগঠনের ৫০০ জন সদস্য সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এখনই এজলাসে হাজিরা নয়।
সম্পাদক আরও জানান, করোনা সংক্রমণ এড়ানো যাবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা হাইকোর্ট থেকে এখনও মেলেনি। সংগঠনের সদস্যদের স্বাস্থ্য বিমাও নেই। এজলাসে খুব কম লোক হাজির হলেও হাইকোর্ট-চত্বরে বাইরের লোকের ভিড় হবে না, এমন নিশ্চযতা মেলেনি। কোনও কৌঁসুলি করোনায় আক্রান্ত হলে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করানোর যথাযথ ব্যবস্থা এখনও হয়নি। তাই এখনই এজলাসে হাজির হয়ে শুনানিতে যোগ দিতে রাজি নন সংগঠনের অধিকাংশ সদস্য। যে-ভাবে ভিডিয়ো-বৈঠকে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি চলছে, আপাতত তা চলতে পারে। তাতে যোগ দিতে আপত্তি নেই সদস্যদের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই তাঁরা কাজে যোগ দেবেন।
রাজ্য বার কাউন্সিল অবশ্য আর্জি জানিয়েছে, করোনার বিধিনিষেধ বজায় রেখে আলিপুর আদালত চালু করা হোক। সোমবার দুপুরে বৈঠকে বসে কাউন্সিল। নিম্ন আদালত চালু করার বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে হাইকোর্ট। বিধিনিষেধ বজায় রেখে আদালত চালু করার আবেদন জানিয়ে জেলা বিচারক ও হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দিয়েছে আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশন। এ দিন বার কাউন্সিল একই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। বার কাউন্সিলের সদস্য বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আলিপুর আদালতের বিচারক ও কর্মীদের সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য জুড়ে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। আদালতে শুধু বিচারক কর্মী ও আইনজীবীরাই আসেন না। অভিযুক্তদের আত্মীয়েরাও আসেন। তাই বিধিনিষেধ মেনেই আদালত চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’’ আলিপুর জজ কোর্টে জেলা বিচারক উদয় কুমার এ দিন বার অ্যাসোসিয়েশনের কিছু সদস্যের সঙ্গে বারান্দায় দাঁড়িয়ে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে বৈঠক করেন। করোনা বিধি মেনে কী ভাবে আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু করা যায়, সেই বিষয় আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: স্কুল-কলেজ বন্ধ এ মাসটাই: পার্থ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy