এন আর এসে পাহারায় বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীরা। নিজস্ব চিত্র
নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (এন আর এস) গোলমালের জেরে পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। ওই নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন সেনাকর্মীরাও। লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (কমব্যাট)-এর নেতৃত্বে ওই বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে ওই বিশেষ প্রশিক্ষণ হওয়ার কথা। তবে ওই প্রশিক্ষণ কবে হবে সেই বিষয়টি আজ, বৃহস্পতিবার বৈঠকের পরে স্থির হবে বলে পুলিশের একাংশ জানিয়েছে।
এক বৃদ্ধের মৃত্যুর পরে তাঁর পরিবারের হাতে এন আর এস হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিগ্রহের প্রতিবাদে এবং নিরাপত্তার দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারেরা সাত দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ওই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করে নিরাপত্তা বাড়ানোর আশ্বাস দিলে গত সোমবার রাতে কর্মবিরতি উঠে যায়। ওই বৈঠকে ঠিক হয়, প্রতিটি হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য এক জন নোডাল অফিসার ঠিক করা হবে। সেই মতো কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলির জন্য ডেপুটি কমিশনার (কমব্যাট) নভেন্দ্র সিংহ পালকে নোডাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। দায়িত্ব নিয়ে মঙ্গলবারই এন আর এসের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে হাসপাতালের নিরাপত্তা পর্যালোচনা করা হয়। পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, ওই বৈঠকেই উঠে আসে, পুলিশের পাশাপাশি হাসপাতালের দায়িত্বে রয়েছেন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরাও। তাঁদের অধিকাংশই প্রাক্তন সেনাকর্মী। কিন্তু নিরাপত্তা দেখভালের ক্ষেত্রে তাঁদের গাফিলতি রয়েছে বলে ওই বৈঠকে অভিযোগ ওঠে। এর পরেই নোডাল অফিসারের তরফে ওই নিরাপত্তারক্ষীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
লালবাজার সূত্রে খবর, নভেন্দ্র সিংহ পাল সেনা অফিসার। তাঁর অধীনে রয়েছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল বাহিনী বা কমব্যাট ফোর্স। যার মধ্যে রয়েছে কম্যান্ডো এবং র্যাফ বাহিনী। স্পেশাল বাহিনীর অধীনে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে। এক মাস ধরে চলবে প্রশিক্ষণ। প্রয়োজনে প্রশিক্ষণের দিন বাড়ানো হতে পারে। শহরের বাকি সব সরকারি হাসপাতালে গিয়েও নোডাল অফিসার বৈঠক করবেন বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।
কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ওই বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের?
পুলিশ জানাচ্ছে, প্রথমে ওই নিরাপত্তারক্ষীদের শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষা করা হবে। এর পরেই ঠিক করা হবে, কী ধরণের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন তাঁদের। বর্তমানে আর জি কর, এন আর এস, এসএসকেএম-সহ সব বড় হাসপাতালেই গড়ে দেড়শো থেকে দু’শো করে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। হাসপাতালের আউটডোর কিংবা ওয়ার্ড, সব জায়গাতেই ওই রক্ষীরা দায়িত্ব পালন করে থাকেন। পুলিশ হাসপাতালে থাকলেও পুরো নিরাপত্তার দেখভালের দায়িত্ব রয়েছেন রক্ষীরাই। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সব সরকারি হাসপাতালেই নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী সরবরাহকারী সংস্থা। পুলিশেরই একটি অংশের অভিযোগ, বেশির ভাগ রক্ষীদের বয়স অনেক বেশি। নিয়মিত শারীরচর্চার অভ্যাস তাঁদের অনেকেরই নেই। ফলে ওই প্রশিক্ষণ তাঁরা কতটা নিতে পারবেন, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy