প্রতীকী ছবি।
স্বাস্থ্যসাথীতে সরকারের বেঁধে দেওয়া খরচে পরিষেবা দিতে গেলে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে ছোট নার্সিংহোমগুলিও চূড়ান্ত সমস্যায় পড়বে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে সরকারের তরফে প্রাপ্য টাকা বেশি ফেলে রাখলেও চলবে না। কারণ টাকা পেতে দেরি হলে হাসপাতাল চালানোও কঠিন হয়ে উঠবে। সোমবার সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন স্বাস্থ্য কর্তারা। সেখানেই বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফে রাজ্য সরকারকে এই দাবিগুলির কথা জানানো হয়েছে।
দীর্ঘ দিন ধরেই সরকারের কাছে টাকা বাড়ানোর আর্জি জানাচ্ছিল বেসরকারি হাসপাতালগুলি। অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে এক একটি অস্ত্রোপচারের জন্য সরকার যে টাকা ধার্য করে দিয়েছে, কার্যক্ষেত্রে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি খরচ হয়। এই খরচ বৃদ্ধির বিষয়ে একটি কমিটি গঠনেরও প্রস্তাব দেওয়া হয় হাসপাতালগুলির পক্ষ থেকে। অ্যাসোসিয়েশন অব হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া-র সভাপতি রূপক বড়ুয়া বলেন, ‘‘আমাদের সদস্যদের নিয়ে ওই কমিটি গঠন করতে হবে এমনটা নয়। প্রয়োজনে সরকার তৃতীয় পক্ষকে নিয়েও কমিটি গঠন করতে পারে।’’ আরও দাবি, প্রায় সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালই সুপার স্পেশ্যালিটি মানের পরিষেবা দিয়ে থাকে। তাই উচ্চতর চিকিৎসার প্রয়োজন, এমন রোগীদেরই সেখানে পাঠালে ভাল হয়।
অনেক সময়ই অভিযোগ উঠছে সরাসরি না হলেও কৌশলে স্বাস্থ্যসাথীর অন্তর্ভুক্ত রোগীকে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। বৈঠকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে স্বাস্থ্য কর্তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, আগামী দিনে রোগী প্রত্যাখ্যানের বিষয়টিতে সতর্ক থাকতে হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘‘ওঁদের প্রস্তাব পেয়েছি। যেগুলি যুক্তিসঙ্গত সেগুলি নিশ্চয় বিবেচনা করে দেখা হবে। আমরাও ওঁদের কিছু বিষয়ে নজর দিতে বলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy