বেসরকারি বাসের সংখ্যা কমলে ভোগান্তিতে পড়তে পারেন যাত্রীরা। ফাইল চিত্র
পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে রাস্তায় কমতে পারে বেসরকারি বাসের সংখ্যা। তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় চলাচল করা বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনগুলি। অতিমারির আগে শহর ও শহরতলি এলাকায় নিয়মিত ৭৫০০ হাজার বাস চলত। কিন্তু লকডাউন-পরবর্তী সময়ে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ১৫০০ থেকে ২০০০-এ। তা সত্ত্বেও বাস মালিকদের দাবি, ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তাঁরা। কারণ, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে তাঁরা লাভের মুখ দেখতে পারছেন না। তাই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে বাস পরিষেবা বন্ধ করতে চাইছেন তাঁরা।
বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘তেলের দাম বাড়ছে, অথচ বাসে যাত্রী সে ভাবে হচ্ছে না। এখন তো আমরা আবার অনুদান ভিত্তিক ভাড়া নিয়ে বাস চালাচ্ছি। মঙ্গলবার পরিবহণ দফতরকে এই বিষয়ে আমরা চিঠি দিয়ে পদক্ষেপ করার আবেদন জানাব। সরকার কোনও সদর্থক পদক্ষেপ না করলে আমাদের পক্ষে বাস চালানো সম্ভব নয়।’’ আবার জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে দেখলাম, ৩৮ বছরের পুরনো নন এসি রেককে মালা পরিয়ে বিদায় দিল কলকাতা মেট্রো। আর যে ভাবে আমাদের বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা চলছে, তাতে বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থাকেও সে ভাবে মালা পরিয়ে বিদায় দিতে পারে সরকার।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ডিজেলের দাম ও যাত্রীসংখ্যা কম হওয়ায় কলকাতা শহরে বেসরকারি পরিবহণ পরিষেবা যেমন মার খাচ্ছে, তেমনই শহরতলিতে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে টোল ট্যাক্স। যা গত কয়েক বছরে প্রায় তিন গুণ হয়ে গিয়েছে। যদি সব কিছু নিয়ে সরকার পক্ষ সঠিক ভাবে সিদ্ধান্ত না নেয়, তা হলে বেসরকারি পরিবহণ চিরতরে হারিয়ে যাবে।’’
প্রসঙ্গত, রবিবার বরাহনগর থানার দুর্গা ভবনের কাছ থেকে বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংগঠনের সদস্যরা উত্তর কলকাতায় মহম্মদ আলি পার্ক পর্যন্ত এক প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেন। একটি বেসরকারি বাস ও অটোকেও নিজেদের প্রতিবাদে সামিল করা হয়। বাসটিকে প্রতিবাদে সামিল বাস মালিকরাই দড়ি দিয়ে টেনে নিয়ে যান। বাসের গায়ে লাগানো হয় একটি ফ্লেক্স। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যঙ্গচিত্র দেখা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy