বাঘা যতীন মোড়ে আন্দোলন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
বাঘা যতীনের কাছে শিশু উদ্যানে এবং যাদবপুর থানার সামনে বুধবার দফায় দফায় ধর্না, রাতে এবং সকালে গ্রেফতার এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে জামিনের পরেও প্রাথমিক শিক্ষকেরা আন্দোলনে অনড়। ধর্না থেকে বুধবার রাতে যাদবপুর থানায় তুলে আনার পরে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠন উস্তি ইউনাইটেড টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস থানা থেকে বেরিয়ে সেখানেই অন্যদের নিয়ে ফের ধর্নায় বসেন। সারা রাত চলে অবস্থান। এ দিন সকালে ধৃতদের মধ্যে চার জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও গ্রেফতার করা হয় পৃথাদেবীকে। বিকেলে তাঁদের সকলেই আদালতে জামিন পান।
ওই সংগঠনের রাজ্য কমিটির সহ-সম্পাদক মহিদুল লস্কর বলেন, ‘‘অন্যায় ভাবে আমাদের নেত্রী এবং অন্য ছ’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আদালত তাঁদের জামিন দিয়েছে। আমাদের এই আন্দোলন থামছে না। ১০ দিনের মধ্যে যদি আমাদের দাবি পূরণ না-হয়, তা হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’’
প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির কথা জানিয়ে রাজ্য সরকার জুলাইয়ে যে-বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল, তাতে স্বচ্ছতা নেই এবং প্রবীণ-অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের খুব কম বেতন বেড়েছে বলে অভিযোগ তুলে পথে নেমেছে প্রাথমিক শিক্ষকদের ওই সংগঠন। বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেট থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা মিছিল করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির দিকে যেতে থাকেন। বাঘা যতীন মোড়ে পুলিশ বাধা দেওয়ায় রাজা এসসি মল্লিক রোডে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন পৃথাদেবীরা। কিন্তু সেই বৈঠক ফলপ্রসূ না-হওয়ায় তাঁরা ফের বাঘা যতীনের কাছে চিত্তরঞ্জন দাস শিশু উদ্যানে ফের অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। সেখান থেকেই পুলিশ রাতে বিক্ষোভকারীদের থানায় নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
পুলিশি সূত্রের খবর, পৃথাদেবীদের গ্রেফতার করে তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ সরকারি কাজে বাধাদান, রাস্তা আটকে রাখা, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ধারা দেওয়া হয়েছিল। মহিদুল বলেন, ‘‘যে-মামলা দেওয়া হয়েছিল, তা অনৈতিক। আমরা রাস্তা আটকাইনি। মিছিল করে একটা লেন ছেড়েই যাচ্ছিলাম। পুলিশই আমাদের আটকে গোটা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে দেয়।’’
প্রাথমিক শিক্ষকদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়েছে কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘শিক্ষককে যে-ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা অগণতান্ত্রিক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy