বর্তমান ও প্রাক্তন সভাপতি সোমেন মিত্র এবং অধীর চৌধুরী।
রাহুল গাঁধীর নির্দেশে বাংলার কংগ্রেসে ঐক্যবদ্ধ ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করছেন এআইসিসি-র নেতা গৌরব গগৈ। প্রদেশ কংগ্রেসের বৈঠকে সম্প্রতি এক মঞ্চেও এসেছেন বর্তমান ও প্রাক্তন সভাপতি সোমেন মিত্র এবং অধীর চৌধুরী। কিন্তু যুব কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে সেই ঐক্যের ছবিই খানখান হল!
রাজ্যের যুব কংগ্রেস সভাপতি পদে এ বার প্রার্থী সোমেনবাবুর ছেলে রোহন মিত্র। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী শাদাব খান, যিনি নিজেকে ‘অধীর চৌধুরীর প্রার্থী’ বলেই প্রচার করেছেন। এ ছাড়াও প্রার্থী প্রীতম কর্মকার, বাবুল শেখ ও দেবলীনা দাস। রাজ্য জু়ড়ে সোম ও মঙ্গলবার ছিল ভোটগ্রহণ। আগের দিন শিলিগুড়ি এবং এ দিন মধ্য কলকাতার শিয়ালদহ ও দক্ষিণ কলকাতার ওয়াটগঞ্জে ভোটারদের বাধা দেওয়া হয়েছে বলে কংগ্রেসেরই একাংশের অভিযোগ। শিয়ালদহের ক্লেমব্রাউন ইনস্টিটিউটে ভোটকেন্দ্র চত্বরে শাদাবের ভোটারদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি, গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মোবাইল বন্ধ থাকায় রোহনের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির রাজনৈতিক সচিব বাদল ভট্টাচার্যের পাল্টা দাবি, ‘‘এ রকম কোনও গোলমালের অভিযোগ নেই। ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। ফল ঘোষণা হবে বুধবার (আজ)।’’
শাদাবের দাবি, তিনি মধ্য কলকাতায় রাজনীতি করেন বলে তাঁর সমর্থকেরা মূলত সেই এলাকারই। তাই শিয়ালদহে এ দিন তাঁর ভোটারদের বাধা দেওয়া হয়েছে। যে গাড়িতে করে ভোটারদের নিয়ে আসার ব্যবস্থা হয়েছিল, সেটিই ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের কাছেও তিনি বিষয়টি জানাবেন। শাদাব বলেন, ‘‘আমি কংগ্রেসের সাধারণ কর্মী। প্রদেশ কংগ্রেস দফতরকে ব্যবহার করে প্রথমে প্রদেশ সভাপতির ছেলের হয়ে প্রচার চালানো হল। তার পরে ভোট দিতেও বাধা দেওয়া হল। এই ভাবে জিতলেই বা লাভ কী?’’
কংগ্রেস বিধায়কদের একাংশের মধ্যেও এ দিন চর্চা ছিল, যুব কংগ্রেসের ভোটে যে বাহিনী নেমেছিল, গত লোকসভা ভোটে সোমেনবাবু উত্তর কলকাতায় প্রার্থী হওয়ার সময়ে তারা সবাই সক্রিয় থাকলে দলের জামানত অন্তত বাঁচানো যেত! বিধানসভায় বিরোধী দলের সচেতক মনোজ চক্রবর্তীরও মন্তব্য, ‘‘যা ঘটেছে, তা অবাঞ্ছিত এবং নিন্দনীয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy