—ফাইল চিত্র।
জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি নিয়ে অবস্থান নির্দিষ্ট করতে চলেছে তৃণমূল। সাধারণ ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই আইনের বিরুদ্ধে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কোন জেলায় এই অবস্থানের ‘প্রাসঙ্গিকতা’ কতটা, দলের তরফে তারই পর্যালোচনা চাইছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।
অসমে এনআরসি চালু করার সময় থেকেই তার বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছিল তৃণমূল। শুধু কলকাতায় নয়, অসমেও দলের প্রতিনিধি পাঠিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। অসমে এনআরসি চালুর প্রতিবাদে রাজ্যেও একাধিক কর্মসূচি নিয়ে বিজেপি-বিরোধী জনমত তৈরির চেষ্টা করেছিলেন শাসক দলের শীর্ষনেতারা। কিন্তু আগামী দিনে রাজ্যে এ বিষয়ে দল কী করবে, তা নিয়ে মত সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন প্রশান্ত। দলের জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এ ব্যাপারে দলের অবস্থান ও আন্দোলন সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হবে। তৃণমূলের এক রাজ্য নেতার বক্তব্য, ‘‘সম্প্রতি জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে তাঁদের মত জানতে চেয়েছিলেন প্রশান্ত। প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। দু’এক জন সভাপতি তাঁদের মত দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা হবে।’’
দলীয় সূত্রে খবর, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী হতে পারে, সামগ্রিক ভাবে তা পর্যালোচনা শুরু করেছে তৃণমূল। সেখানে এনআরসি একটি বিষয় হিসেবে সামনে আসতে পারে। কারণ, এ বারের লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে বিজেপির তৎকালীন সভাপতি অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলে,ন এ রাজ্যেও এনআরসি কার্যকর করতে চান তাঁরা। ক্ষমতায় এসে সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও তিনি একই কথা জানিয়েছেন। ফলে, এ রাজ্যে নির্বাচনের আগে এই প্রশ্নে বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ে যেতে হতে পারে বলে দলের একাংশ মনে করছে।
এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের জেলা সভাপতিদের মন বুঝতে চেয়েছিলেন প্রশান্ত। সেখানেই দু'এক জন স্পষ্ট মতও দিয়েছিলেন। তবে এ ব্যাপারে দলের পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy