—ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের ‘গ্রাম দর্শন’-এর দায়িত্ব ধীরে ধীরে বিধায়কদের হাতে ছেড়ে দিচ্ছে ‘টিম পিকে’। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির চতুর্থ দফা থেকেই বিধায়কদেরই পরিকল্পনা ঠিক করতে বলা হচ্ছে। কোন এলাকায়, কোন বিশিষ্টের সঙ্গে দেখা করা দরকার বা কোথায় রাত্রিবাসের প্রয়োজন—তা নিজেদের মতো ঠিক করে নিতে বলে জেলায় জেলায় ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের বার্তা পৌঁছতে শুরু করেছেন তাঁর ‘কো অর্ডিনেটর’রা।
গত ২৯ জুলাই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির সূচনা করে তৃণমূল। প্রশান্তের পরামর্শ ও পরিকল্পনা মতোই গত এক মাস নিজেদের কেন্দ্র ঘুরেছেন তৃণমূলের বিধায়কেরা। চার দফা পর্যন্ত বিধায়কদের এই কর্মসূচির খুঁটুনাটি বলে দিয়েছে ‘টিম পিকে’। এ বার তাদের তরফেই বলে দেওয়া হয়েছে, বিধায়ক কোথায়, কী ভাবে এই জনসংযোগ চালাবেন, তা নিজেই ঠিক করে নিন। দলীয় সূত্রে খবর, প্রথম তিন-চার দফায় জনসংযোগে গিয়ে বিধায়কেরা যে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি তার অনেকটাই টিম পিকের সংগ্রহে রয়েছে। নিয়ম করে বিধায়কেরা সেই সব বৈঠক, প্রচার, রাত্রিবাসের যে তথ্য ও ছবি পাঠিয়েছেন, তা থেকে সামগ্রিক ভাবে পরিস্থিতির মূল্যায়ন করছেন প্রশান্তের টিমের বিশ্লেষকেরা। সেই মতোই পরবর্তী পর্যায়ের এগোনোর পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। তবে একবারে সব বিধায়কদের হাতে জনসংযোগের দায়িত্ব ছাড়া হচ্ছে না। পর্যালোচনার পরেই এক একটি জেলায় এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।
অন্য দিকে গত এক মাসে ফোন আর ই-মেল এসে ভাসিয়ে দিয়েছে পিকের দফতর। তাই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে এ বার অভাব-অভিযোগের সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে ‘টিম পিকে’। বিধানসভা কেন্দ্র পিছু কম-বেশি ১৫টি করে ‘চাহিদা’ জানতে চাইছে তারা। সেই মতোই নতুন ‘ফরম্যাট’ পাঠানো শুরু হয়েছে কয়েকটি জেলায়। দক্ষিণবঙ্গে দলের এক জেলা সভাপতির কথায়, ‘‘বিধায়ক তাঁর কেন্দ্রের কোনও একটি অঞ্চলে চাওয়া-পাওয়া শুনতে গেলে কয়েকশো মানুষ জড়ো হয়ে যান। তা থেকে বেছেই এই রকম ১৫টি ‘চাহিদা’ আলাদা করতে হবে।’’
এই প্রক্রিয়ায় জনসংযোগ তৈরি হলেও জেলায় জেলায় বিধায়কেরা ‘সাড়া না-পাওয়ার’ প্রচুর অভিযোগ পাচ্ছেন। বহু মানুষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছেন, বিলি করা নম্বরে ফোন করলেও শেষ পর্যন্ত সমস্যা জানাতে পারেননি তাঁরা। আবার অনেককে অপেক্ষা করতে বলা হলেও ফিরতি-ফোন আসেনি তাঁদের কাছে। সে ক্ষেত্রে মৃদু অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে বলেও দলের নেতাদের কাছে জানিয়েছেন একাধিক বিধায়ক।
আজ সোমবার কালীঘাটে এক মাসের জনসংযোগ পর্বের সামগ্রিক বিশ্লেষণে জেলা সভাপতি ও সাংসদদের ডেকেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন প্রশান্ত কিশোরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy