একক বেঞ্চে মামলা যেমন চলছে, চলবে। তবে হলদিয়া বন্দরে পণ্য খালাসের জন্য নতুন নিলাম পদ্ধতি চালু করা এবং পণ্য খালাসকারী সংস্থাগুলির কাছ থেকে রয়্যালটি আদায়ের ব্যাপারে বন্দর-কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বন্দরের অছি পরিষদের নতুন নিলাম পদ্ধতির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, যত দিন না ওই মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত পণ্য খালাসকারী সংস্থাগুলি পুরনো পদ্ধতি মেনে কাজ চালিয়ে যেতে পারবে।
২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর কলকাতা বন্দরের অছি পরিষদ সিদ্ধান্ত নেয়, টন-পিছু বেঁধে দেওয়া দরে হলদিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করতে হবে। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পণ্য খালাসকারী সংস্থাগুলিকে টন-পিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ ‘রয়্যালটি’ দিতে হবে বন্দর-কর্তৃপক্ষকে। কলকাতা বন্দর সূত্রের খবর, এখন হলদিয়া বন্দরে পণ্য খালাসের খরচ টন-পিছু কমবেশি ২০০ টাকা। এক বন্দর-কর্তা জানান, কলকাতা বন্দরের অছি পরিষদের সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে টন-পিছু দাম ২০০ টাকার চেয়ে কম হবে।
বন্দরের অছি পরিষদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কয়েকটি পণ্য খালাসকারী সংস্থা। তারা আদালতে জানায়, বন্দর-কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া দর তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের রয়্যালটি দিতে বলতে পারেন না। তারা কলকাতা বন্দরকে শুধু লাইসেন্স ফি বাবদ নির্দিষ্ট কিছু টাকা দেবে। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ বন্দরের অছি পরিষদের ওই সিদ্ধান্তের উপরে স্থগিতাদেশ দেয়।
সেই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে বিচারপতি জয়ন্তকুমার বিশ্বাস এবং বিচারপতি ঈশানচন্দ্র দাসের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাঁরা আদালতে জানান, বন্দর আইন অনুযায়ী পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে তাঁদের টন-পিছু দর বেঁধে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ আরও জানান, বন্দর আইন অনুযায়ী তাঁরা পণ্য খালাসকারী সংস্থাগুলির কাছ থেকে রয়্যালটিও আদায় করতে পারেন।
দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে ডিভিশন বেঞ্চ গত ৪ সেপ্টেম্বর জানিয়ে দেয়, পণ্য খালাসের জন্য নতুন নিলাম পদ্ধতি চালু করার ব্যাপারে বন্দর-কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত স্বাধীনতা রয়েছে। নিলামের শর্তাবলিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে পারেন তাঁরা। দর বেঁধে দেওয়ার ক্ষেত্রে এবং রয়্যালটি আদায়ের ব্যাপারেও অছি পরিষদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। পণ্য খালাসকারী সংস্থাগুলি সিঙ্গল বেঞ্চে যে-মামলা করেছে, তার নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত তারা পুরনো পদ্ধতিতে মালপত্র খালাস করতে পারবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy