Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

গুলি চালাল কারা, ধন্দই পাত্রসায়রে

পাত্রসায়রের কাঁকরডাঙা মোড়ে সংঘর্ষের ওই ঘটনায় গুলিতে পেট ফুঁড়ে যাওয়া অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সৌমেন বাউড়ির অবস্থার অবনতি হয়েছে।

সুনসান: রবিবার পাত্রসায়রের কাঁকরডাঙা মোড়। ছবি: তারাশঙ্কর গুপ্ত

সুনসান: রবিবার পাত্রসায়রের কাঁকরডাঙা মোড়। ছবি: তারাশঙ্কর গুপ্ত

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯ ০৩:১৫
Share: Save:

গুলি চলেছে ঠিকই। তবে তা কারা চালিয়েছে, বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে সে নিয়ে চাপানউতোর চলল রবিবারও। শনিবার বিকেলে বিজেপি অভিযোগ করেছিল, তাদের কর্মীদের উপরে পুলিশই গুলি চালিয়েছে। গুলিবিদ্ধ হন এক স্কুল ছাত্র-সহ তিন জন। সে দিন কোনও গুলি চলার কথা পুলিশ মানেনি। রবিবার জেলা সুপার কোটেশ্বর রাও দাবি করেন, ‘‘পুলিশ গুলি চালায়নি। কারা গুলি ছুড়েছে তদন্ত চলছে। জমায়েতকারীদের ছোড়া গুলিতেই তিন জন জখম হয়েছেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

পাত্রসায়রের কাঁকরডাঙা মোড়ে সংঘর্ষের ওই ঘটনায় গুলিতে পেট ফুঁড়ে যাওয়া অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সৌমেন বাউড়ির অবস্থার অবনতি হয়েছে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি সৌমেনের খাদ্যনালী ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দুই বিজেপি কর্মী তাপস বাউড়ি ও টুলুপ্রসাদ খাঁয়ের অবস্থা স্থিতিশীল। সৌমেনের বাবা কেষ্ট বাউড়ি ও মা মঞ্জু বাউড়ির দাবি, ‘‘ছেলে টিউশন থেকে ফিরছিল। ও কী দোষ করেছিল যে পুলিশ গুলি করল?’’

কী থেকে গোলমালের সূত্রপাত?

শনিবার বিকেলে পাত্রসায়রে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল ছিল। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মন্ত্রীর উপস্থিতিতে কিছু বাচ্চা ছেলে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে চিৎকার করে। যদিও মন্ত্রীর দাবি, তাঁর সামনে কেউ ‘জয় শ্রীরাম’ বলেনি। তার পরেই পুলিশ বিজেপির পাত্রসায়র ২ মণ্ডল সভাপতি তমালকান্তি গুঁইকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এর পরেই বোমাবাজি হয়, চলে গুলি।

বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারের অভিযোগ, ‘‘জয় শ্রীরাম শুনেই পুলিশ ও তৃণমূল হামলা চালায়। পুলিশের গুলিতেই আমাদের তিন জন জখম হন।’’ তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সংসদীয় জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরার পাল্টা দাবি, মিছিলে যাওয়ার পথে তাঁদের কর্মীদের গাড়ি আটকায় বিজেপির লোকজন। পুলিশ ছাড়াতে গেলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে গোলমাল বাধে।

পুলিশ সুপারের অবশ্য দাবি, “জমায়েতকারীরা পুলিশের দিকে প্রচুর বোমা ছোড়ে। আট পুলিশকর্মী জখম হন।” গোলমাল পাকানোর অভিযোগে ধৃত বিজেপি নেতা তমালকান্তিকে রবিবার বিষ্ণুপুর আদালত চার দিন পুলিশি হেফাজত রাখার নির্দেশ দেয়। তমালকান্তির দাবি, ‘‘গোলমালের সময় আমি দোকানে ছিলাম, সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই প্রমাণ হবে।’’ ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন জেলা জুড়ে অবরোধ কর্মসূচি নেয় বিজেপি।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

অন্য বিষয়গুলি:

Patrasayer TMC BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE