ফাইল চিত্র।
বিজেপি’র অভিযানের আঁচ নবান্নে যাতে উত্তাপ ছড়াতে না পারে, সোমবার বৃষ্টি ভেজা রাতেই তার প্রস্তুতি শুরু করেছে পুলিশ। হাওড়ার মন্দিরতলা থেকে শেখপাড়া, বেলেপোলের কোনা এক্সপ্রেসওয়ের প্রবেশ দ্বার থেকে কলকাতা থেকে বিদ্যাসাগর সেতু ছুঁয়ে নবান্নমুখী পথের প্রতিটি মোড়ে এ দিন রাত থেকেই বসেছে গার্ডরেল কিংবা স্পিড ব্রেকারের বুক সমান উঁচু লোহার বেড়া। মোতায়েন হয়েছে বাড়তি পুলিশ বাহিনী। গভীর রাতেও দেখা গিয়েছে, হাওড়া কমিশনারেট এবং কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তাদের অনর্গল আনাগোনা।
সোমবার, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কারিগরি দফতরের অনুষ্ঠান সেরেই মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে বেরিয়ে গিয়েছেন। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই নবান্নে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব। এক সরকারি কর্তার কথায়, ‘‘বেশ কয়েক জন মন্ত্রীরও থাকার কথা।’’ নবান্নের দু’টি প্রবেশ পথে পরিচয়পত্র যাচাই করেই সরকারি কর্মচারীদের ঢুকতে দেওয়া হলেও এ দিন সকাল থেকে নবান্নে কোনও ‘ভিজ়িটর’ বা বহিরাগতের প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা সোমবার জানান, নবান্নে প্রহরায় থাকা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গেই মঙ্গলবার সকাল থেকে মোতায়েন করা হবে কলকাতা ও হাওড়ার বেশ কিছু বাড়তি পুলিশ কর্তা ও কর্মীকে। এই নিরাপত্তা বলয়ের দায়িত্ব বর্তেছে কলকাতা পুলিশের এক যুগ্ম কমিশনারের উপরে। তাঁর সঙ্গেই ওই চত্বরে থাকবেন কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার-সহ দু’জন অ্যাসিস্টান্ট কমিশনার, ৪ জন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার, ১৬ জন সার্জেন্ট এবং সাব-ইন্সপেক্টর এবং ১৪ জন মহিলা পুলিশ কর্মী-সহ ৫৬ জন বাড়তি পুলিশ কর্মী।
বিদ্যাসাগর সেতুর বিভিন্ন জায়গায় মিছিল রুখতে ১৮ জন ডেপুটি কমিশনারের নেতৃত্বে থাকছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এ ছাড়াও নবান্নের গা-ঘেঁষে টোল প্লাজ়ার দায়িত্বে থাকছেন এক জন যুগ্ম কমিশনার এবং কলকাতা পুলিশের এক জন ডেপুটি কমিশনার। আজ, মঙ্গলবার সকাল ছ’টার মধ্যেই তাঁদের নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যেতে বলা হয়েছে।
নবান্নের সামনেই মোতায়েন করা হচ্ছে ৫টি জল কামান, কলকাতা পুলিশের দু’টি ‘বজ্র’ এবং সাতটি অ্যাম্বুল্যান্স।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy