চন্দনা বাউড়ি। ফাইল চিত্র
বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ উঠল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর গাড়ির চালককে বিয়ে করেছেন চন্দনা। সেই মর্মে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্ত গাড়িচালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর স্ত্রী রুম্পা কুণ্ডু। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চন্দনা। স্বামী শ্রবণের সঙ্গে পারিবারিক গোলমালকেই রাজনৈতিক উদ্দেশে অন্য কারণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এ নিয়ে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘রুম্পা কুণ্ডু একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় তদন্ত ও পদক্ষেপ করব।’’
বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে চন্দনা বলেন, ‘‘যা শোনা যাচ্ছে, তার কোনওটাই ঠিক নয়। আমার স্বামীর সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়েছিল। সেটাই পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে সব মিটিয়ে নিয়েছি।’’ বিধায়ক চন্দনার স্বামী শ্রবণ বাউড়ির দাবিও একই। তিনিও আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘মনসা পুজোর পরব থাকায় আমি একটু বেশি নেশা করেছিলাম। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গোলমাল হয়েছিল। এর মধ্যে অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে আমার স্ত্রীর সম্পর্কের প্রশ্ন নেই। গোটাটাই কল্পিত।’’
নুন আনতে পান্তা ফুরোন সংসারের সদস্য চন্দনা বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই খবরের শিরোনামে থেকেছেন। ভোটের প্রচারে বাঁকুড়া এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও চন্দনার কথা আলাদা করে বলেছিলেন। সেই চন্দনা সম্পর্কে ‘পরকীয়ার’ খবর নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নানা জল্পনা শুরু হয়। বিজেপি-র পক্ষ থেকে অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি দুপুর পর্যন্ত। তবে চন্দনা তাঁর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে একটি ফেসবুক লাইভ করে তাঁদের বক্তব্য প্রকাশ্যে জানান। সেখানেও তিনি গোটা বিষয়টিকেই ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন। তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বাঁকুড়া বিজেপি-র কারও কারও বক্তব্য, বিজেপি কর্মী কৃষ্ণ কুণ্ডুর সঙ্গে চন্দনার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে তা জানাতে রাজি নন কেউই। এ বিষয়ে কোনও সমর্থনও মেলেনি। তবে জেলা বিজেপি-র একাংশের দাবি, কৃষ্ণ গাড়িচালক নন। তিনি শালতোড়া বিধানসভার দলীয় কো-কনভেনর।
পুলিশ অবশ্য অন্য কথা বলছে। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে চন্দনার বিরুদ্ধে। গাড়িচালক কৃষ্ণর স্ত্রী রুম্পার দাবি, বুধবার রাতে চন্দনা এবং কৃষ্ণা বিয়ে করেছেন। পুলিশের একাংশের দাবি, বিবাহের বিষয়টি নাকি পুলিশের কাছে চন্দনা স্বীকার করেছেন। যদিও চন্দনার দাবি, তিনি একেবারেই তা বলেননি। পুলিশের একাংশের ওই দাবি অসত্য। প্রসঙ্গত, চন্দনা এবং কৃষ্ণ দু’জনেই নিজের নিজের জীবনে বিবাহিত। তাঁদের সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ পেয়ে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ চন্দনা ও কৃষ্ণর বিরুদ্ধে ৪৯৮-এ ধারায় বধূ নির্যাতনের মামলা রুজু করেছে।এ ছাড়াও,৫০৬ ধারায় দু’জনের বিরুদ্ধেই ভয় দেখানোর অভিযোগও আনা হয়েছে।
চন্দনা তাঁর ফেসবুক লাইভে বলেছেন, ‘‘বিরোধীরা চক্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে এসব রটাচ্ছে! এর মধ্যে কোথাও কোনও সত্যতা নেই।’’ তবে চন্দনা এবং কৃষ্ণর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ নথিভুক্ত হওয়ার পর স্থানীয় পুলিশের তরফে বিষয়টি জেলা পুলিশের শীর্ষ স্তরে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy