পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরা বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার জিতেন সরকার যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে। জিতেন সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠিতে তিনি তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট জামানায় দু’দফায় স্পিকার হয়েছিলেন জিতেন। সিপিএমের টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন ছ’বার। কিন্তু ২০১৭ সালে সিপিএমের প্রতি মোহভঙ্গ হয় জিতেনের। ত্রিপুরার তৎকালীন বিজেপি সভাপতি বিপ্লব দেবের হাত ধরে যোগ দেন বিজেপি-তে। সম্প্রতি বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছে না বলে খবর। তাই তিনি দলবদলের বিষয় মনস্থ করেছেন বলে দাবি করেছেন ত্রিপুরার তৃণমূল নেতারা।
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল সভাপতি আশিসলাল সিংহ প্রাক্তন স্পিকারের যোগদানের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘জিতেনবাবুর সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তিনি আমাদের সর্বভারতীয় সভানেত্রীকে চিঠি লিখে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি ত্রিপুরাতেই কোনও দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করবেন। যাবতীয় কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়ে গেলেই তাঁকে যোগদান করানো হবে।’’ আদিবাসী সংগঠনে নেতা হিসেবে জিতেনের এখনও যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। তাঁকে দলে নিতে পারলে আদিবাসীদের মধ্যেও ভাল প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্ব। এর ফলে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দল ইতিবাচক ফল পেতে পারে।
ত্রিপুরার বামপন্থী নেতা শ্যামল রায়ের সঙ্গেও যোগদানের বিষয়ে আলোচনা চলছিল তৃণমূল নেতৃত্বের। তিনি দীর্ঘ দিন ত্রিপুরায় ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছিল বলেও দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেতারা। কিন্তু, মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। জিতেনের ক্ষেত্রে তৃণমূল সাফল্য পেলেও শ্যামলের মতো নেতাকে দলে না নিতে পেরে আফসোস করছেন ত্রিপুরার তৃণমূল নেতারা। তাঁদের আরও দাবি, কংগ্রেস বা বিজেপি নয়, সিপিএম ও বিভিন্ন বামপন্থী দল ভেঙে তৃণমূলে যোগদানের জন্য প্রতি দিন আবেদন জমা পড়েছে তাঁদের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy