বন্ধুপ্রকাশের বাড়ি দেখতে ভিড়। নিজস্ব চিত্র
দুপুরের পর থেকেই পিলপিল করে লোক জমতে শুরু করছে বাড়িটার সামনে। তাঁদের কেউ এসেছেন পড়শি জেলা নদিয়া থেকে। কেউ এসেছেন মুর্শিদাবাদেরই অন্য কোনও গঞ্জ থেকে। সকলেই এক বার বাড়িটাকে চোখের দেখা দেখতে চান। সেই ভিড় থেকেই ছিটকে আসছে
—‘খুনি কোন দিক দিয়ে ঢুকেছিল রে?’
—‘পাড়ার মধ্যে ঢুকে এত বড় কাণ্ড করে চলে গেল!’
—‘ফুটফুটে বাচ্চাটাকে মারতে খুনির এক বারও হাত কাঁপল না?’
জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানের সেই বাড়িটার সামনে ভিড় সামাল দিতে মাঝেমধ্যে চেয়ার ছেড়ে উঠে আসতে হচ্ছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদেরও। দশমীর দিন এই বাড়িতেই খুন হয়েছেন স্কুলশিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি ও ছেলে অঙ্গন। সংবাদমাধ্যমে এমন ঘটনা জানার পর থেকেই কৌতূহলী লোকজনের আনাগোনা বেড়েছে।
ভিড় রুখতে ঘটনার পরে বাড়ির সামনে দড়ি টাঙিয়ে দিয়েছে পুলিশ। রয়েছে পুলিশ প্রহরাও। কিন্তু লোকজনের কৌতূহল আর কবে বাগ মেনেছে! ফলে সকালের দিকে বাড়ির সামনের এলাকা থমথমে থাকলেও দুপুরের পর থেকে বাড়ছে ভিড়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পরে লেবুবাগানের আশপাশের বাসিন্দা তো বটেই বন্ধুপ্রকাশের বাড়ি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বাইরের লোকজনও। জিয়াগঞ্জে কারও বাড়িতে আত্মীয় এলে তাঁরাও বায়না করছেন, ‘‘বিকেলের দিকে এক বার বাড়িটা দেখেই আসি, কী বলেন!’’
জিয়াগঞ্জের সৌমেন ঘোষের বাড়িতে দু’দিনের জন্য ঘুরতে এসেছেন সৌমেনের মাসতুতো দাদা ও তাঁর স্ত্রী। সৌমেন বলছেন, ‘‘দাদা-বৌদিও আবদার করল। তাই দেখাতে নিয়ে এলাম।’’ প্রতিদিন পড়শি কয়েক জনকে নিয়ে বিকেলে হাঁটতে বেরোন জিয়াগঞ্জের বাসিন্দা শিপ্রা সরকার। এ দিন তাঁরাও চলে আসেন বন্ধুপ্রকাশের বাড়ির সামনে। শিপ্রা বলেন, ‘‘কাগজে, টিভিতে শুধু এই বাড়িটাকেই নিয়ে খবর। তাই চলে এলাম। হাঁটাও হল। বাড়িটাও এক বার দেখে গেলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy