অরবোধ তুলতে লাঠিচার্জ পুলিশের। নিজস্ব চিত্র।
টিকা নিতে গিয়ে জুটল পুলিশের মার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠল। কয়েক জনকে বেধড়ক মারা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকালে। অশোকনগরের কল্যাণগড় পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা নেওয়ার জন্য ভিড় করেছিলেন বহু মানুষ। বারাসত, হাবড়া থেকেও অনেকে এসেছিলেন। অভিযোগ, দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করার পর স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয় যাঁদের ডাকা হয়েছে তাঁরাই টিকা পাবেন। কো-উইন অ্যাপে নথিভুক্ত করানো দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘোষণার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
বারাসত থেকে আসা এক তরুণীর অভিযোগ, ‘‘কো-উইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করেছিলাম। কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে জানানো হয় অনলাইনে যাঁরা নাম নথিভুক্ত করেছেন তাঁদের টিকা দেওয়া সম্ভব নয়।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, যাঁদের অনলাইনে নাম নথিভুক্ত নেই এমন স্থানীয়দের ডেকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অথচ যাঁরা কো-উইনে নাম নথিভুক্ত করে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন তাঁদের টিকা দিতে অস্বীকার করা হচ্ছে। বাইরে থেকে টিকা নিতে আসা বাকিদের মুখেও একই অভিযোগ শোনা গিয়েছে।
যদিও পুরসভা সূত্রে জানানো হয় ২০০ জনকে ফোন করে ডাকা হয়েছে। তাঁদেরই টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়, যাঁরা অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করেছেন নথি জমা দিয়ে যেতে হবে। পরে তাঁদের ডাকা হবে। কিন্তু এই কথা মানতে রাজি হননি বাইরে থেকে টিকা নিতে আসারা। এর পরই তাঁরা অশোকনগর-নৈহাটি রোড অবরোধ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে অবরোধ তুলে দেয়।
লাঠিচার্জের ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বারাসতের মহকুমাশাসক সোমা সাউ। কেন পুলিশকে লাঠি চালাতে হল তা নিয়ে পুরসভা বৈঠকে বসেছে। জেলা স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ জ্যোতি চক্রবর্তী বলেন, “প্রথম টিকা এবং দ্বিতীয় টিকা নিয়ে জটিলতার কারণে অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করা মানুষ ক্ষিপ্ত হন। সকলের সঙ্গে সহযোগিতা করে কাজ করতে হবে। গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে।” তবে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেননি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy