নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল যখন ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগানকে সামনে রেখে নীলবাড়ির লড়াইয়ে নামতে চলেছে তখন উল্লেখ না করেও সেই স্লোগানকেই আক্রমণ করলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হুগলির সমাবেশ থেকে তিনি অভিযোগ করেন, বাংলার মেয়েদের কষ্টে রেখেছে তৃণমূল সরকার।
শনিবার নতুন স্লোগান সম্পর্কে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বলেছিলেন, ‘‘এই স্লোগানের মধ্য দিয়ে বাংলার সমস্ত মানুষের কাছে তৃণমূলের হাজার হাজার কর্মীরা পৌঁছবেন। সারা রাজ্য ঘুরে আমাদের কর্মীরা উপলব্ধি করেছেন বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সম্প্রীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযয়ের হাতেই সুরক্ষিত। তিনিই পারবেন তা রক্ষা করতে।’’ বুধবার যেন সেটাকেই আক্রমণ করলেন মোদী। রাজ্যে পানীয় জল সরবহারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বাংলার মেয়েদের কষ্টে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এর আগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তোলেন মোদী। বলেন, ‘‘বাংলার ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্র জল জীবন মিশন প্রকল্প চালু করেছে। রাজ্যে এই প্রকল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ, বাংলায় দেড় থেকে পৌনে ২ কোটি পরিবারের মধ্যে মাত্র ২ লক্ষ ঘরে নলবাহিত পানীয় জলের সুবিধা রয়েছে।’’ মোদী দাবি করেন, ‘‘সবার বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছানোর জন্য ১,৭০০ কোটি টাকার বেশি টাকা তৃণমূল সরকারকে দিয়েছে কেন্দ্র। এর মধ্যে মাত্র ৬০৯ কোটি টাকা মাত্র তৃণমূল খরচ করেছে। বাকি টাকা চেপে রেখেছে। এটাই প্রমাণ করে তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের জন্য সহানুভূতি নেই।’’ এখানেই থামেননি মোদী। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকার বাংলার বোন, মেয়েদের কথা একটুও ভাবে না।’’ প্রশ্ন তোলেন, ‘‘জলের জন্য যাঁরা কষ্ট পাচ্ছেন তাঁরা বাংলার মেয়ে কি মেয়ে নয়? বাংলার মেয়েদের সঙ্গে যারা অন্য করেছে তাদের কি ক্ষমা করা যায়?’’
রাজ্য সরকার সম্পর্কে মোদীর এই বক্তব্যের নিন্দা করেছে তৃণমূল। দলের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘জলপ্রকল্প নিয়ে যা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী তা একদম বাজে কথা। ওই প্রকল্প এখনও ভাল করে শুরুই হয়নি। আর বাংলায় সবচেয়ে বেশি জল প্রকল্প হয়েছে। জল ধরো, জল ভরো প্রকল্পে অনেক পুকুর খোড়া হয়েছে।’’ সেই সঙ্গে সৌগত বলেন, ‘‘মেয়েদর জন্য বাংলায় যা করা হয়েছে তা আর কেউ করতে পারেনি। আর বিজেপিশাসিত রাজ্যে মহিলাদের উপরে অত্যাচার চলছে। ওঁদের মুখে মহিলাদের কথা মানায় না। ওঁদের কোনও নৈতিক অধিকারই নেই।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy