কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্য দিকে, দিল্লি থেকে দুর্ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তার আগে এই দুর্ঘটনা নিয়ে বৈঠকও করেন তিনি। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করল রেলও।
সোমবার সকালে ফাঁসিদেওয়ার নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে। পিছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি এসে ওই ট্রেনে ধাক্কা মারে। খেলনাগাড়ির মতো মালগাড়ির উপর উঠে পড়ে এক্সপ্রেসের পিছনের একাধিক বগি। লাইনচ্যুত হয় মালগাড়িও।
এই দুর্ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তার পরই ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। মৃতের পরিবার পিছু দু’লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি আহতদের ৫০ হাজার টাকা সাহায্যের কথা জানিয়েছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
রেলমন্ত্রী এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানান, মৃতের পরিবারপিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে রেলের তরফে। একই সঙ্গে গুরুতর আহতদের আড়াই লক্ষ টাকা করে এবং তুলনামূলক কম জখম হয়েছে যাঁরা, তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নিয়ে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে উদ্বেগ প্রকাশ করে পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘‘এই মাত্র দার্জিলিঙের ফাঁসিদেওয়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেলাম। বিশদে এখনও জানতে পারিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালগাড়ি ধাক্কা মেরেছে শুনেছি। জেলাশাসক, এসপি, চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হচ্ছে।’’ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা এখনও পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাল রেল। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন যাত্রী এবং তিন জন রেল কর্মচারী।