দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যস্নান করতে আসেন লক্ষাধিক মানুষ। ফাইল ছবি।
আগামী ১৪ জানুয়ারি পৌষ সংক্রান্তির দিন গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের তিথি। তার আগে ১০ জানুয়ারি থেকেই প্রশাসনিকভাবে শুরু হয়ে যাওয়ার কথা গঙ্গাসাগর মেলার। সেই মেলায় আগত তীর্থযাত্রীদের প্রত্যেকের থেকে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক জোড়া টিকার প্রমাণপত্র খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছে বেসরকারি বাসমালিকদের সংগঠনগুলি।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওই মেলায় পুণ্যস্নান করতে আসেন লক্ষাধিক মানুষ। গত বছর করোনা সংক্রমণের কারণে মেলার আয়োজন সেভাবে করা না গেলেও এ বছর ফের আগের মতোই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই মাথা চাড়া দিতে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ছিলেন সাগরদ্বীপে। সেখানে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন আবার প্রশাসনিক কড়াকড়ির।
আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে ফের রাজ্য জুড়ে বিধিনিষেধ বলবৎ হতে পারে বলে ইঙ্গিতও মিলেছে। তার ঠিক এক সপ্তাহ পরে গঙ্গাসাগর মেলা বসবে। তাই বাসমালিকদের সংগঠনগুলি দাবি করেছে, মেলায় আগত তীর্থযাত্রীদের জোড়া টিকা দেওয়া হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হোক।
সাগরদ্বীপে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করতে প্রতি বছর কয়েক হাজার বেসরকারি বাসের প্রয়োজন হয় রাজ্য সরকারের। তা নেওয়া হয় বেসরকারি বাসমালিকদের থেকেই। এ বারও একই ভাবে বেসরকারি মালিকদের কাছ থেকে বাস নিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই সমস্ত বেসরকারি বাসে করেই সরকারি আধিকারিক থেকে শুরু করে তীর্থযাত্রীরা সাগরদ্বীপে পৌঁছান। বহু আগেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, মেলায় কর্মরত বেসরকারি বা সরকারি যে সমস্ত আধিকারিক বা কর্মীরা কাজ করবেন, তাঁদের জোড়া টিকা নেওয়া আবশ্যিক। সে ভাবেই বাছাই করা হয়েছে সরকারি বা বেসরকারি আধিকারিক এবং কর্মীদের।
কিন্তু বেসরকারি বাসমালিকরা প্রশ্ন তুলছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত তীর্থযাত্রীদের নিয়ে। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমরা দাবি করেছি সরকারপক্ষ যেন মেলায় আগত তীর্থযাত্রীদের জোড়া টিকাকরণের প্রমাণপত্র যাচাই করে নেন। কারণ, আমাদের যে সমস্ত কর্মীরা গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কাজ করবেন, তাঁরা সকলেই জোড়া টিকা পেয়েছেন। কিন্তু তীর্থযাত্রীরা যদি জোড়া টিকা না পেয়ে থাকেন, তা হলে তাঁদের মারফত করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই আমরা এই দাবি তুলছি।’’
‘সাউথ সুবার্বান বাস সার্ভিসেস’-এর পক্ষে টিটো সাহা বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণের ফলে পরিবহন ব্যবসা ব্যাপক মার খেয়েছে। তাই আমরা এবার দাবি তুলেছি, যাঁরা বেসরকারি বাসে ডিউটি করবেন, তাঁদের জন্য যেন সরকারপক্ষ আলাদা করে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। সঙ্গে কোডিড সংক্রমণ যেন ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রেখে চলেন। কারণ, গত বছর মেলা সেভাবে না হওয়ায় এ বার তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই সরকারপক্ষকে বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করতেই হবে।’’
প্রসঙ্গত, গঙ্গাসাগর মেলায় যে সমস্ত বেসরকারি পরিবহন কর্মীরা কাজ করবেন, তাঁরা সকলেই জোড়া টিকা নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বাসমালিক সংগঠনগুলির কর্তারা। সে কারণেই তীর্থযাত্রীদের টিকাকরণ যাচাইয়ের বিষয়টি সরকারকে কড়া হাতে নজরদারি করার দাবি আরও জোরাল ভাবে তুলছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy