সিঙ্গুরের চাষিদের চাষযোগ্য জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলে সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ অবৈধ হয়েছিল বলে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬-র ৩১ অগস্ট রায় দেয়। কৃষকদের হাতে অধিগৃহীত জমি ফিরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। জমি চাষযোগ্য করে তুলতে বিভিন্ন রাজ্য সরকারি দফতরকে মাঠেও নামানো হয়েছিল। আলু ও সর্ষের পরীক্ষামূলক চাষের পরে সিঙ্গুরের ওই জমির কিছু অংশে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। কিন্তু আজ সুপ্রিম কোর্টে করা এই জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছে, ২০০৬-এ জমি অধিগ্রহণের আগে সিঙ্গুরের জমি যেমন বহুফসলি ছিল, ঠিক তেমন জমিই ফেরত দিতে হবে। পাশাপাশি, অনেকে জমির কাগজ হাতে পেলেও সেখানে কারখানার কাঠামো, রাস্তা, জলাশয় থাকায় কোনটা কার জমি, তা চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মামলায় অভিযোগ।
জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন মানিক মণ্ডল। তিনি নিজেকে সামাজিক কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছেন। মামলা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠেছে, এই মামলার পিছনে রাজনৈতিক অঙ্ক রয়েছে কি না।মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে সিঙ্গুরের কিছু কৃষক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। মামলার আইনজীবী শান্তিরঞ্জন দাসের দাবি, ‘‘চাষিদের স্বার্থেই মামলা দায়ের হয়েছে।’’
সিঙ্গুরের জমিতে আদৌ চাষআবাদ সম্ভব কিনা, তা নিয়ে আগেও অনেকে সংশয় জানিয়েছিলেন। রাজ্য সরকার কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের সিঙ্গুরে নিয়ে যান। তাঁদের পরামর্শে সিঙ্গুরের ওই জমিকে চাষের উপযোগী করে তোলার কাজ শুরু হয়। জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে দেখুক, সিঙ্গুরের ওই জমি কতখানি চাষযোগ্য রয়েছে। মামলাকারীর আর্জি, প্রশাসনকে জমি ফেরত ও তার উর্বরতা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy