Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪

কৃষিতে নিয়োগের চিঠি জাল, দুষ্ট চক্র রাজ্য জুড়ে

সম্প্রতি এমনই একটি জাল নিয়োগপত্র নিয়ে এক ব্যক্তি কৃষি দফতরের বারুইপুর ব্লক অফিসে ‘গ্রুপ ডি’ কর্মীর পদে যোগ দিতে যান।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩৪
Share: Save:

অশোকস্তম্ভ ছাপ বা সরকারি আমলার সিলমোহর রয়েছে। খুঁটিয়ে দেখলেই অবশ্য চোখে পড়ছে গরমিলটা। কৃষি দফতরের ঠিকানা থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের পদ কী, সেই সব তথ্য লেখার ক্ষেত্রে নানা গোলমালও রীতিমতো স্পষ্ট।

সম্প্রতি এমনই একটি জাল নিয়োগপত্র নিয়ে এক ব্যক্তি কৃষি দফতরের বারুইপুর ব্লক অফিসে ‘গ্রুপ ডি’ কর্মীর পদে যোগ দিতে যান। পরীক্ষার সময়েই বোঝা যায়, সেটি জাল। আগন্তুক পালিয়ে যান। তাঁকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। বারুইপুরের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘জাল নিয়োগপত্রধারীকে গ্রেফতার করা গেলে তদন্তে সুবিধা হবে।’’

কৃষি দফতরের কর্তারা জানান, বসিরহাট, তমলুক, আরামবাগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘পরীক্ষা না-দিয়ে, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া না-মেনে জাল নিয়োগপত্র নিয়ে এলেই সরকারি চাকরি মিলবে— এমনটা ভেবে নেওয়া চরম বোকামি।’’ কিন্তু জাল নিয়োগপত্রধারীকে কোনও ক্ষেত্রেই ধরা গেল না কেন, সেই প্রশ্ন উঠছে কৃষি দফতরের অন্দরেই। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জাল নিয়োগপত্রধারীকে ধরা গেলে তাঁর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ হয়তো এই জালিয়াতি চক্রের বিষয়ে সূত্র পেত। কেউ ধরা না-পড়ায় সেটা এখনও সম্ভব হয়নি।’’ বিভাগীয় কর্তারা দফতরের সর্বস্তরে এই বিষয়ে সচেতনতা প্রচার করলে জালিয়াতি রোখা যাবে বলে মনে করেন পার্থবাবু। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ওই চক্রের সঙ্গে দফতরের একাংশের যোগসাজশ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কৃষি দফতর সূত্রের খবর, জাল নিয়োগপত্রগুলির ছাঁচে মিল রয়েছে। যেমন, দফতরের ঠিকানার জায়গায় মহাকরণের বদলে ময়ূখ ভবন লেখা। নিয়োগকারী হিসেবে রয়েছে কৃষি দফতরের রিক্রুটমেন্ট সেলের অধিকর্তার নাম। যদিও এই ধরনের কোনও সেলের অস্তিত্বই নেই। ওই নিয়োগপত্রের প্রতিলিপি কাদের কাছে পাঠানো হয়েছে, তার তালিকাও আছে। কিন্তু তার কিছু পদ ও পদাধিকারী কাল্পনিক! তা ছাড়া, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে নিয়োগপত্রের প্রতিলিপি পাঠানোর কথা নয়। কৃষি অধিকর্তা সম্পদরঞ্জন পাত্র বলেন, ‘‘এখন চাকরির খবর আসে ই-মেলে। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ছাড়া নতুন কর্মীর মাইনেই হবে না। টাকার বিনিময়ে কেউ একটা নিয়োগপত্র জোগাড় করে আনলেই চাকরি পাওয়া যায়— এটা ভেবে নেওয়া ভুল।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Baruipur Farmer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy