চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের ছাদ থেকে ঝাঁপ রোগীর। —নিজস্ব চিত্র।
হাসপাতালের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক রোগী। রবিবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে। অভিযোগ, প্রকাশচন্দ্র বাইন নামের ওই রোগী মরণঝাঁপ দেওয়ার আগে নার্সদের টেবিল থেকে ছুরি-কাঁচি নিয়ে নার্স এবং অন্য রোগীদের ভয় দেখান। বাধা দিতে গেলে তেড়ে যান। তার পর নার্সিং স্টাফদের ঘরের ভিতর দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে হাসপাতালের ছাদে উঠে পড়েন তিনি। তার পরেই তিনতলা থেকে ঝাঁপ দেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় গাড়িচালক প্রকাশ গত শুক্রবার পেটব্যথা এবং রক্তবমির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা হলেও বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি চন্দননগরের মহাডাঙা কলোনিতে থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার সকালেই হাসপাতালে যান হুগলি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্কমৌলি কর। হাসপাতালের সুপারকে নিয়ে তিনি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ হঠাৎই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন প্রকাশ। ঢুকে পড়েন হাসপাতালের ফিমেল ওয়ার্ডে। মরণঝাঁপ দেওয়ার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানো হয়। কিন্তু দ্রুত অস্ত্রোপচার করেও বাঁচানো যায়নি প্রকাশকে। রাত ৩টে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। রাতেই খবর দেওয়া হয় রোগীর পরিবারকে। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের নিরাপত্তা বন্দোবস্ত ঢিলেঢালা থাকার কারণেই রোগী ছাদে উঠতে পেরেছেন।
হাসপাতালের সুপার সন্তু ঘোষ অবশ্য এই প্রসঙ্গে বলেন, “তিন দিন আগে ভর্তি হয়েছিলেন ওই রোগী। চিকিৎসা চলছিল। নিয়মিত মদ্যপান করতেন। মদ না পাওয়ায় এমন আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারেন। উদ্ধার করার পরেও বেঁচে ছিলেন। আমরা চেষ্টা করেও ওঁকে বাঁচাতে পারিনি।” মৃতের স্ত্রী মিঠু বাইন বলেন, “হাসপাতাল থেকে ফোন করা হয় তাড়াতাড়়ি আসার জন্য। কর্তৃপক্ষ বলছেন, আমার স্বামী নাকি ছুরি-কাঁচি নিয়ে ভয় দেখিয়েছে। এই প্রথম এমন কিছু শুনলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy