অধীর চৌধুরী (বাঁ দিকে) ও সোমেন মিত্র। —ফাইল চিত্র
সেপ্টেম্বরে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছেন সোমেন মিত্র। তার দু’মাসের মাথায় যুব কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রায় দু’হাজার ভোটে পরাজিত হলেন সোমেন-পুত্র রোহন মিত্র। জয়ী হলেন মধ্য কলকাতার শাদাব খান, যাঁকে প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি ‘অধীর চৌধুরীর প্রার্থী’ হিসেবেই তুলে ধরা হয়েছিল। যুব সংগঠনের নির্বাচনের সঙ্গে সোমেনবাবু নিজের যোগ অস্বীকার করলেও রাজ্য কংগ্রেসের অন্দরে এই ঘটনাকে প্রদেশ সভাপতির জন্য বড় ধাক্কা খাওয়া হিসেবেই দেখা হচ্ছে!
দু’দিনের ভোটগ্রহণের পরে বুধবার গণনায় দেখা গিয়েছে, যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদে শাদাব ১ হাজার ৯২৬ ভোটে হারিয়েছেন রোহনকে। সর্বাধিক ৯ হাজার ১৯৫টি ভোট পেয়ে শাদাব যেমন যুব সভাপতি হবেন, তেমনই সংগঠনের নিয়ম অনুসারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপক রোহন (৭, ২৬৯ ভোট) হবেন সহ-সভাপতি। জয়ের পরে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীরবাবু, অমিতাভ চক্রবর্তী, সন্তোষ পাঠক ও সুমন পালের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শাদাব বলেছেন, ‘‘আমি সাধারণ কংগ্রেস কর্মী। কংগ্রেস একটা পরিবারের মতো। পরিবারের সকলকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করব, যুব কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কর্মসূচি নেব।’’ রোহনের সঙ্গে অবশ্য আগের দিনের মতো এ দিনও যোগাযোগ করা যায়নি।
প্রদেশ কংগ্রেসে অধীরপন্থী নেতা-কর্মীরা যুব কংগ্রেস নির্বাচনের ফলাফলকে ‘ঐতিহাসিক জয়’ হিসাবে দেখছেন। আবার সোমেনবাবুর সমর্থকেরা পাল্টা যুক্তি দিচ্ছেন, কংগ্রেসে যে গণতন্ত্র আছে, এই ফলই তার প্রমাণ! নইলে প্রদেশ সভাপতির পুত্র কি ভোটে হারতেন? স্বয়ং অধীরবাবুরও মতে, ‘‘সোমেনদা আমার বহু দিনের নেতা। এটা তাঁর সঙ্গে আমার লড়াই নয়। সাংগঠনিক নির্বাচনে যাঁরা জিতলেন, তাঁদের দায়িত্ব হবে পরাজিতদের যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে সঙ্গে নিয়ে চলা।’’
নির্বাচনের আগে সোমেনবাবু বলেছিলেন, এই প্রক্রিয়ায় তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। ফলাফলের পরে এ দিন প্রদেশ সভাপতির প্রতিক্রিয়া, ‘‘ফল জানা গিয়েছে। এক জন জয়ী হয়েছেন, তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি। এক জন পরাজিত, তাঁকে আরও পরিশ্রম করে ভবিষ্যতের পথ চলতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy