Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Arambagh

অ্যাম্বুল্যান্সে অপেক্ষারত বৃদ্ধ রোগীর মৃত্যু, ‘বাবাকে মেরে ফেলেছে’, হাসপাতালের বিরুদ্ধে দাবি মেয়ের

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার থেকে আরামবাগের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন হুগলি জেলার জয়রামপুরের বাসিন্দা তারাপদ চক্রবর্তী।

অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে তারাপদ চক্রবর্তীর দেহ।

অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে তারাপদ চক্রবর্তীর দেহ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২১ ১৫:৩০
Share: Save:

রোগীর প্রবল শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এই সন্দেহে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বৃদ্ধকে। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরেই মৃ্ত্যু হয় হুগলির খানাকুলের ওই বাসিন্দার। পরিবারের অভিযোগ, ওই ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি, রোগীকে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্টেচারও পাওয়া যায়নি। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের সুপার। ওই রোগী করোনা আক্রান্ত ছিলেন না বলেও দাবি তাঁর।

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার থেকে আরামবাগের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন হুগলি জেলার জয়রামপুরের বাসিন্দা তারাপদ চক্রবর্তী (৬১)। বুধবার সকালে তাঁকে সেখান থেকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর সেখান থেকে তাঁকে রেফার করা হয় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রেফার। অভিযোগ, দীর্ঘ ক্ষণ ধরে রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে হাসপাতালে ইমার্জেন্সি গেটের সামনে ফেলে রাখা হয়। চিকিৎসার জন্য কর্মরত ব্যক্তিদের জানালেও তাঁরা কোনও রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বিনা চিকিৎসায় তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারাপদর মেয়ে মিনাক্ষী চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “বাবাকে ওরা মেরে ফেলেছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই বাবার খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তাই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু বাবাকে ওরা হাত দিয়েও দেখেনি। আমি বার বার ছুটে গিয়েছি, আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বাবা অ্যাম্বুল্যান্সে পড়ে থাকলেও হাসপাতালের কেউ দেখতে আসেনি।”

বুধবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে আরামবাগ থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

যদিও বিনা চিকিৎসায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আরামবাগ হাসপাতালের সুপার সত্যজিৎ সরকার। তিনি বলেন, “ওই ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত ছিলেন না। কোনও পজিটিভ রিপোর্টও নেই। তা সত্ত্বেও সরাসরি সুপার স্পেশালিটিতে রোগী নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। আগে তো ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যেতে হবে!

অন্য বিষয়গুলি:

Death Medical Negligence Arambagh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy