এই ওষুধই দেওয়া হয়েছিল।
মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ খেয়ে যক্ষ্মা রোগী মৃত্যুর অভিযোগ মেদিনীপুর মেডিক্যালে। জুনে মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ওই ওষুধ হাসপাতাল থেকেই দেওয়া হয়েছিল।
শনিবার শান্তিনাথ কুণ্ডু (৪৮) নামে ওই রোগীর মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে। শান্তিনাথবাবুর ভাই মিলন কুণ্ডু সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। তদন্ত কমিটি গড়েন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সুপার তন্ময়কান্তি পাঁজা বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তা সঠিক হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধেই ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে মানতে নারাজ চিকিৎসকেরা। তাঁদের ব্যাখ্যা, মেয়াদ ফুরনো ওষুধ দিলে তা কাজ করবে না। কিন্তু তাতে রোগীর মৃত্যুর কথা নয়। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে কেন দু’মাস আগে মেয়াদ ফুরনো ওষুধ রোগীকে দেওয়া হবে, প্রশ্ন সেখানেই।
শান্তিনাথবাবুর বাড়ি গড়বেতার শালডাঙায়। যক্ষ্মার উপসর্গ নিয়ে ২৪ জুলাই মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি হন তিনি। চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন তিনি। তাঁর ভাই বলেন, “হাসপাতালে ভর্তির পরে দাদার স্ক্যান, এমআরআই হয়। পরে ওষুধ খাওয়ানো শুরু হয়। প্রায় সুস্থই হচ্ছিলেন উনি। কিন্তু কাল দুপুরে একটা ওষুধ খেয়ে ফের অবস্থার অবনতি হয়। তার পর এ দিন মারা যান দাদা।” মিলনবাবুর অভিযোগ, শুক্রবার যে ওষুধ ওয়ার্ডের নার্সরা তাঁর দাদাকে দিয়েছিলেন, সেটাই মেয়াদ উত্তীর্ণ। ওষুধের স্ট্র্যাপ হাতে নিয়ে মিলনবাবুর বক্তব্য, ‘‘এখানে স্পষ্ট লেখা, ওষুধের মেয়াদ জুন মাসে ফুরিয়েছে। তা-ও কী করে দু’মাস পরে হাসপাতাল এই ওষুধ দিল বুঝছি না।’’ ওই ওষুধের স্ট্র্যাপ লিখিত অভিযোগের সঙ্গে জমা দিয়েছেন মিলনবাবু।
মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে আবার এক যক্ষ্মা রোগীকে ডটস্-এর মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগে এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। শনিবার ধুলিয়ানে এসে এ কথা জানান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিরুপম বিশ্বাস। ওই যক্ষ্মা রোগী রোজ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে ওষুধ খেতেন। কিন্তু অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী আদরি খাতুন বাড়িতে খাওয়ার ওষুধ দিয়েছিলেন। তিন দিন সেই ওষুধ খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই রোগী। পরে বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসক জানান, ওই ওষুধের মেয়াদ ফুরিয়েছে চার মাস আগে। তৃণমূলের পুরপ্রধান সুবল সাহা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে সব জানালে এই পদক্ষেপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy