Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

পঞ্চায়েত গঠনে অব্যাহত তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে অশান্তি অব্যাহত। পঞ্চায়েত সমিতির ‘দখল’ নিয়ে দলেরই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:২৩
Share: Save:

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে অশান্তি অব্যাহত। পঞ্চায়েত সমিতির ‘দখল’ নিয়ে দলেরই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়। এখানে বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত ছয় দলীয় সমর্থককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরেও। অশান্তির আশঙ্কাতেই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে নদিয়ার দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন।

পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে দলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ছয় তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। দুই গোষ্ঠীর নেতা মিহির চন্দ ও সূর্যকান্ত অট্টের গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত ছ’জনকেই বেলদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মিহিরবাবুর গোষ্ঠীর অভিযোগ, দলের অন্য গোষ্ঠী বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গঠন করেছে। সূর্যকান্তবাবুর অভিযোগ, ‘‘যাঁরা মারধর করেছে তাঁরা তৃণমূল করে না। অথচ ওঁরা মিহিরবাবুর মদতপুষ্ট।’’

হাওড়ার জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতি নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বিরোধ ছিল গোড়া থেকেই। দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে এখানে সভাপতি নির্বাচনে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দুই গোষ্ঠী। তাতে অবশ্য বিবাদ মেটেনি। এ বার স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে তা একেবারে রাস্তায় এসে পড়েছে। জগৎবল্লভপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল গণি অনুগামী এবং তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর গোলমাল বেধে যায়। ভোটাভুটিতে হেরে গণি-বিরোধীরা বিডিও অফিসে অবস্থান করেন। পরে তাঁরাই রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। হাওড়া সদর জেলা তৃণমূল‌ সভাপতি অরূপ রায় বলেন, ‘‘ওখানে দুই গোষ্ঠীকেই আলোচনা করে স্থায়ী সমিতি গঠন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে যা ঘটল তা খুবই খারাপ হল।’’

অশান্তির আশঙ্কায় হাতে থাকা দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন পিছিয়ে গিয়েছে নদিয়ায়। তার মধ্যে কালিয়াগঞ্জের পালিতবেড়িয়ার পঞ্চায়েত আক্ষরিক অর্থেই বিরোধীশূন্য। কিন্তু প্রধান পদের দুই দাবিদারের সঙ্গে সমান সংখ্যক সদস্য রয়েছে। কেউই দাবি ছাড়তে রাজি চাইছেন না। তেহট্ট ২ ব্লকের বার্নিয়াতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল। এখানে বিদ্রোহের আশঙ্কায় বোর্ড কবে হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। জেলার ভারপ্রাপ্ত নেতা নন্দ সাহা বলেন, ‘‘সমস্যা আছে। তা মিটিয়েই আমরা বোর্ড করতে চাই।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE